সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সম্ভবত এবারের লিগে নিজেদের সেরা ম্যাচটাও খেলেছে কেরালার বিরুদ্ধে। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করেছেন মহেশরা। আবার বিপক্ষকে বিধ্বস্ত করেছে রিচার্ডদের আক্রমণ। এবং অবশ্যই বিষ্ণুর অসাধারণ পারফরম্যান্স। সব মিলিয়ে তৃপ্তির হাসি কোচ অস্কারের মুখে। ম্যাচের পর বিষ্ণুকে জাতীয় দলে নেওয়ার দাবি তুললেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ খুললেন লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা নিয়েও।
এর আগে একাধিক ম্যাচে যথেষ্ট লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তাহলে এই ম্যাচে কোথায় পার্থক্য হল? অস্কার মনে করছেন, মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে রেখেই সাফল্য পেয়েছে দল। তিনি বলেন, “শেষ কয়েক সপ্তাহে আমরা অনেক ভুগেছি। ভালো খেলেও পয়েন্ট টেবিলের ক্ষেত্রে আমরা খালি হাতে ফিরেছি। তাই আজকের ম্যাচটি ছিল প্রতিরোধের পরীক্ষা। ছেলেদের লড়াকু মানসিকতা প্রশংসনীয় ছিল। তবে দল মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
তবে দুশ্চিন্তাও যে ছিল, সেটাও স্বীকার করে নিচ্ছেন তিনি। প্রথমে বিষ্ণু ও হিজাজি গোল করে এগিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ৮৪ মিনিতে একটি গোল শোধ করে কেরালার দানিশ ফারুক। তারপর অবশ্য আর বিপদ হয়নি। অস্কার বলছেন, “হয়তো প্রথম ১০ মিনিটে আমরা একটু নড়বড়ে ছিলাম এবং শেষ ১৫ মিনিটে কেরালা ব্লাস্টার্স তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে, আমি মনে করি ছেলেরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। এবং হ্যাঁ, এই ম্যাচ জিতে আমরা সত্যিই স্বস্তি পেয়েছি।”
অস্কারকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে বিষ্ণুর পারফরম্যান্স। তাঁর মতে, বিষ্ণুর অবিলম্বে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া উচিত। অস্কার বলছেন, “গত সপ্তাহে আমি জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে। তবে বিষ্ণু নিশ্চিতভাবেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার দাবিদার। ও শুধু আমাদের ক্লাবের নয়, পুরো আইএসএলে অন্যতম সেরা ফুটবলার। আমরা ওর পাশে থাকব।”
১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। লিগ টেবিলে ১১ নম্বরে। প্লে অফের লড়াই কঠিন হলেও এখনও খোলা। সেটা কি সম্ভব? যেখানে দলে একাধিক চোট-আঘাত আছে। অস্কার অবশ্য সেসব নিয়ে আর ভাবছেন না। বরং বলছেন, “প্রভাত লাকরা, মহম্মদ রাকিপ, সল ক্রেসপো এবং আনোয়ার আলির মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। ওরা পরের ম্যাচে থাকতে পারবে কিনা, জানি না। তবে আমি বারবার বলি, আমাদের দল পয়েন্ট টেবলের এত নিচে থাকার যোগ্য নয়। এখনও ৭-৮টি ম্যাচ বাকি আছে। আমরা প্রমাণ করতে পারি যে, ইস্টবেঙ্গল এবছর টেবিলের তলানিতে নয়, বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকতে পারে।”
মাঝামাঝি অবস্থান মানে কি প্লে অফ? সেটা অবশ্য পরিষ্কার করে বলছেন না অস্কার।