যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্রিজ ভূষণের বাড়িতেই চলত কুস্তি সংস্থার কাজকর্ম, চাপে পড়ে কী সাফাই?


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন ভিনেশ ফোগাট-সহ বেশ কয়েকজন কুস্তিগির। দীর্ঘ বিতর্কের পর তাঁকে সরিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু নামেই তিনি আর এখন পদে নেই। আসলে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সমস্ত কাজকর্মই চলত ব্রিজভূষণের বাড়ি থেকে। আর সেই খবর স্বীকারও করে নিল কুস্তি সংস্থা।

তবে দ্রুত অফিস স্থানান্তরিত করা হবে বলা জানা যাচ্ছে। আর সেটা হবে ফেব্রুয়ারিতেই। কিন্তু কেন এতদিন ব্রিজভূষণের বাড়িতে কাজকর্ম চলছিল? সেই বিষয়ে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার এক কর্তা জানাচ্ছেন, “হরিনগরের একটি ছোট বাড়ি থেকে আমরা সমস্ত কাজকর্ম করছিলাম। আমরা চেষ্টা করছিলাম, যাতে অন্য কোনও জায়গায় কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু তার মধ্যেই সরকারের নির্বাসন নেমে আসে। ফলে আমরা অফিস পুরোপুরি স্থানান্তরিত করতে পারিনি।” তবে সেই কাজ খুব দ্রুত হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বসন্ত পঞ্চমীতে আমরা নতুন জায়গায় অফিস নিয়ে যাব। নির্বাসনের জন্যই আমরা এত সমস্যায় পড়লাম। আশা করি দ্রুত নির্বাসন উঠে যাবে এবং আমরা আবার স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনকে। কুস্তিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে ভারতকে নির্বাসিত করার হুমকিও দিয়ে রাখছেন আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা অর্থাৎ UWW-র সভাপতি নেনাদ লালোভিচ। তারপরই WFI নড়েচড়ে উঠল কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। অবশ্য ভারতীয় কুস্তিতে ডামাডোল দীর্ঘদিন ধরেই চলছে।

২০২৩-র আগস্টে কুস্তির ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং (UWW) সাসপেন্ড করে দেশের কুস্তি ফেডারেশনকে। মূল কারণ ছিল, দীর্ঘদিন ধরেই ফেডারেশনে কোনও নির্বাচিত কমিটি ছিল না। দেশের কুস্তির দায়িত্ব ছিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার অ্যাড হক কমিটির হাতে। পরে বছরের শেষের দিকে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসেন সঞ্জয় সিং। পরে বছরের শেষের দিকে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসেন সঞ্জয় সিং। তাতেও সমস্যা মেটেনি। সেই কমিটিকে বাতিল করে ক্রীড়ামন্ত্রক। অন্যদিকে যৌন নিগ্রহের মামলা চলছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহ, যৌন হেনস্থা, আড়াল থেকে নজরদারি, অপরাধমূলক হুমকির মতো একাধিক অভিযোগে চার্জশিট পেশ করেছিল দিল্লি পুলিশ।

Leave a Reply