লিস্টনের গোলার মতো গোলে বদলা, বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে লিগ শিল্ডের দৌড়ে এগোল মোহনবাগান


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা দুম্যাচ ড্রয়ের পর স্বস্তির জয়। লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান নিয়ে আচমকা যে কালো মেঘ জমছিল, তা রকেটের মতো গোলে ছিঁড়ে ফেললেন লিস্টন কোলাসো। বদলার ম্যাচে মোহনবাগান জিতল ১-০ গোলে। গোটা ম্যাচে বারবার চাপে পড়েও প্রয়োজনীয় তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল মোলিনার দল। সেই সঙ্গে আরও এক পা এগিয়ে থাকল লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে। ১৮ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৪০। 

বেঙ্গালুরুর মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল মোহনবাগান। ফলে ঘরের মাঠে বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল মোলিনার দলের কাছে। সেই সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলেও অনেকটা এগিয়ে আরও পাকাপোক্ত হত লিগ শীর্ষের অবস্থান। তার উপর এদিন যুবভারতীতে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা নিয়ে এসেছিলেন বিশ্বের সব থেকে বড় হাতে আঁকা টিফো। ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলে ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে আর কী চাই? লিস্টনের গোলে সেই কাজটাই করে দেখাল মোহনবাগান।

যদিও প্রথম থেকে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে তুলে নিতে ব্যর্থ হন শুভাশিস-ম্যাকলারেনরা। কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে ছিলেন না আশিস রাই। সেই জায়গায় ছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। প্রথমার্ধে অধিকাংশ আক্রমণ উঠে এল সেই দিক থেকেই। এডগার মেন্দেজকে মাঝখানে ছেড়ে সুনীল ছেত্রী সরে এলেন বাঁদিকে। এর সঙ্গে আলবার্তো নোগুয়েরা, সুরেশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঝমাঠের দখল নিতে পারেনি মোহনবাগান। দীপক টাংরি, আপুইয়ার মধ্যে কে কোন দায়িত্ব নেবেন, সেই তালমিল স্পষ্ট নয়। একের পর এক ডুয়েলও বেঙ্গালুরুর দখলে।

১৮ মিনিটে ছেত্রীর একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৬ মিনিটে সু্যোগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুনও। কিন্তু স্টুয়ার্টের শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। তবে প্রথমার্ধের সব থেকে সহজ সুযোগ মিস করেন সুনীল। হাফটাইমের ঠিক আগে নোগুয়েরার বল ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। মোহনবাগানের দুজন প্লেয়ারকে কাটানোর পর তাঁর সামনে শুধু গোলকিপার বিশাল কাইথ। কিন্তু বাইরে মারলেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের কাছে। দীপকের হেড বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। একই রকম ভাবে মেন্দেজের হেড বাঁচান গুরপ্রীত। অবশেষে ৭৪ মিনিটে লিস্টনের গোল। অবশ্য গোলের থেকে গোলা বললে বোধহয় সঠিক বলা হয়। বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়েছিলেন তিনি। ভাসানো বলেই শট মারেন লিস্টন। রকেটের মতো বেগে তা জালে জড়িয়ে যায়। গুরপ্রীত ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি। সেটাই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিল। বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে লিগশীর্ষে স্থান আরও মজবুত করল মোহনবাগান। 

Leave a Reply