ব্যাটিং ব্যর্থতা জারি ক্যাপ্টেন স্কাইয়ের, রাজকোটে জিতে সিরিজ জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড


বল হাতে উইকেট মেলেনি। আন্তর্জাতিক প্রত্য়াবর্তন ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করেছেন। ব্যাটিংয়ে এসে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে জমিয়ে দেন সামি। আরও একটি বড় শট খেলতে গিয়ে ৪ বলে ৭ রানেই ফেরেন সামি। ভারতের কাছে ম্যাচ তখন কঠিন পরিস্থিতিতে। সূর্যকুমারের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন এই পিচে প্রথমে ব্যাট করার কথা। সূর্য রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ ক্রমশ মন্থর হয়। শট খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। রাজকোটে সিরিজ নিশ্চিত করা হল না ভারতের। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত। ২৬ রানের জয়ে সিরিজ জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড।

বোর্ডে ১৭২ রানের টার্গেট। পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। ক্রিজে তিলক ভার্মার সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া থাকায় কিছুটা ভরসা ছিল। ঠিক যেন প্রথম ম্যাচের মতোই আউট সূর্যকুমার যাদব। টসের সময় ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন, ফিল সল্ট একাদশে থাকলেও কিপিং করবেন জেমি স্মিথ। যদিও সল্টকেই কিপিংয়ে দেখা গেল। সূর্যকে ফেরাতে অনবদ্য ক্যাচ সল্টেরই। পাওয়ার প্লে-র পরের ওভারেই আদিল রশিদের বোলিংয়ে বোল্ড হন তিলক ভার্মা। অপরাজিত থেকে ৩০০-র উপর রান করেছেন তিলক ভার্মা। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড। যদিও এ দিন আর অপরাজিত থাকতে পারলেন না। বল অনেকটাই টার্ন নিয়েছিল। সরে গিয়ে কাট করতে গিয়ে বোল্ড চেন্নাইতে ভারতের জয়ের নায়ক।

ভারতের রাস্তা ক্রমশ কঠিন হয়। হার্দিকের সঙ্গে যোগ দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এই জুটিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বড় শট খেলার প্রয়োজন ছিল। তেমনই খেলতে গিয়ে আউট ওয়াশিংটন। হার্দিকের সঙ্গে আর এক বাঁ হাতি ব্যাটার তথা ভাইস ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল ক্রিজে যোগ দেন। শেষ চার ওভারে ৬৪ রানের টার্গেট দাঁড়ায় ভারতের। হার্দিক ও অক্ষর দু-জনেই গিয়ার শিফ্ট করেন। তিন ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫০। এখান থেকে ফের ভারতের জয়ের আশা তৈরি হয়।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে ফের ধাক্কা। জোফ্রা আর্চার ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টায় ফুলটস করেন। পয়েন্ট ফিল্ডারের গ্যাপে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন। যদিও অক্ষরের চেষ্টা ব্যর্থ। বল সোজা আদিল রশিদের হাতে। ধ্রুব জুরেলের মতো তরুণ ফিনিশার তখনও ছিলেন। হার্দিক থাকলে এই রান তোলা সম্ভব, বলাই যায়। জুরেলের থেকে স্ট্রাইক পেয়ে ছয় মেরে সেটাই যেন প্রমাণ করেন হার্দিক। শেষ দু-ওভারে লক্ষ্যটা কঠিন হয়। তখনও প্রয়োজন ৪১ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই হার্দিকের উইকেট তুলে নেন মার্ক উড। লং অফ বাউন্ডারিতে ক্যাচ। ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই ফিরতে হয় হার্দিককে। ৩৫ বলে ৪০ রান করেন।

Leave a Reply