‘মেয়ে বলেছিল আরও একটা বছর খেলতে,’ কারণ খোলসা করলেন ঋদ্ধি


আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি পড়েছিল কয়েক ২-৩ বছর হয়ে গেল। সব ফরম্যাটকেই বিদায় জানাতে চলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ঘোষণা আগেই করেছিলেন। রঞ্জি ট্রফির সপ্তম ম্যাচে নামছে বাংলা। প্রতিপক্ষ পঞ্জাব। তাদের অবস্থাও শোচনীয়। নকআউটে যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ নেই। ফলে ঋদ্ধিমান সাহার এটিই বিদায়ী ম্যাচ। হঠাৎ করেই কি অবসরের সিদ্ধান্ত? পরিবারের লোকই বা কী বলছেন? বিদায়ী ম্যাচে কে থাকতে পারেন, অনেক বিষয়েই খোলসা করলেন বাংলার কিপার-ব্যাটার।

শুরুটা অবশ্য করলেন মজার ছলেই। বরাবরের মতো খোলামেলা। মুখে বলছেন, ‘আবেগ একবারই নয়, ২৮ বছর ধরে অনেক ওয়ার্ম আপ করেছি, আর ওয়ার্ম আপ করতে হবে না। আর এত আবেগী আমাকে কোনওদিনই দেখেনি।’ ঋদ্ধি জানিয়েছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত তাঁর হঠাৎ নেওয়া নয়। তাঁর কথায়, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত গত বছর থেকেই ছিল। দাদা (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) আর রোমি (স্ত্রী) বলায় আরও একটা মরসুম খেললাম। এ বার হয়তো জোর করেই খেলেছি।’

ঋদ্ধি আরও যোগ করেন, ‘একটা সময় অবধি সবারই সামনে এগনোর টার্গেট থাকে। যখন জানবে সামনে এগনোর আর কিছু নেই। বরং জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত। চুংইগাম কিংবা বাংলা সিরিয়ালের মতো (যদিও বলা উচিত না) অনেক সিরিয়ালই আছে, এরকম টানা হয়, সেটা করতে চাই না। নতুন ক্রিকেটার উঠে আসবে, ওদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়।’

অবসর প্রসঙ্গে মেয়ে যে তাঁকে আটকাতে চাইছিল, বলেন ঋদ্ধি। হেসে বললেন, ‘মেয়ে আরও একটা বছর খেলতে বলছে। আমি বাড়িতে থাকলে হয়তো অনেক পরিশ্রম করাই। তবে পরিবার, সন্তানদের এখন সময় দিতে হবে।’

কেরিয়ারে বারবার উঠে এসেছে তাঁর কিপিংয়ের প্রসঙ্গ। ধ্রুপদী ঘরানার শেষ উইকেট কিপারও বলা হয়ে থাকে। বর্তমান ক্রিকেটে অবশ্য কিপারদের ব্যাটিং স্কিলকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঋদ্ধির কিছু ক্যাচ, স্মার্ট মুভ নতুন প্রজন্মের কাছে উদাহরণ হয়েই থেকে যাবে। তাঁর কেরিয়ারে কি কাজ কঠিন হয়নি? বলছেন, ‘কেরিয়ারে এত বোলারকে কিপিং করেছি যে একজনকে বাছা কঠিন। পেসারদের মধ্যে সামি, ইশান্ত, বুমরা। আর স্পিনে অশ্বিন, রশিদ খান ডিফিকাল্ট। বোলাররা এক্সপেরিমেন্ট করে। ব্যাটার যেমন রিড করতে পারবে কি না, ভাবতে হয়, কিপার হিসেবে আমাকেও ভাবতে হয়েছে।’

Leave a Reply