‘ভারতের হয়ে খেলতে হলে কী করতে হবে?’ প্রশ্ন খুদে ভক্তের, উত্তরে মন জিতলেন ‘কিং’ কোহলি


স্টাফ রিপোর্টার: ‘কিং কোহলি’ নাকি ‘বিরাট ভাইয়া’? দিল্লির রনজি ট্রফির ট্রেনিংয়ে নামার পর ‘কিং কোহলি’ নয়, পাওয়া গেল পুরনো ‘বিরাট ভাইয়া’-কে। নেটে ঢোকার আগে ফুটবল নিয়ে মিনিট পনেরো দৌড়োদৌড়ি চলল। কিন্তু নেটে ঢোকামাত্র সেই পরিচিত ‘গেম ফেস’। কোহলি যখন প্র্যাকটিসে ঢুকছেন, নেটে ব্যাট করছিলেন দিল্লি অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি। কোহলিকে আসতে দেখে শশব্যস্ত ভাবে বাদোনিও এগিয়ে আসেন। বিরাট তাঁকে বলেন যে, “আয়ুশ তুই আগে ব্যাট করে নে। তার পর আমরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যাটিং করব।”

বাদোনিকে যতটা সম্ভব, স্বাচ্ছন্দ্যে রাখা যায়, তার চেষ্টাও নিরন্তর করে গিয়েছেন কোহলি। নেটে পেসার ও স্পিনার সমস্ত প্রজাতির বোলারই খেলেন কোহলি। দেখা গেল, ডেলিভারির পাশে গিয়ে অধিকাংশ স্পট খেলার চেষ্টা করছেন তিনি। নিজের ‘ব্যাকফুট প্লে’-তেও নজর দিতে দেখা যায় কোহলিকে। আসলে সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে রনজি ট্রফির ম্যাচ যে ভালো ‘পাইলট পর্ব’ হয়ে থাকতে পারে, কে না জানে? এবং শুধুই ক্রিকেটীয় ব্যাপার-স্যাপারে আটকে থাকল না ফিরোজ শাহ কোটলায় কোহলির প্রত্যাবর্তন। সেখানে মায়াময় ছোট্ট একখানা ঘটনাও থাকল। এক ছোট্ট খুদেকে নিয়ে।

ক্লাস ফোরের এক খুদে এসেছিল কোটলায়। নাম যার কবীর। সে এসেছিল ‘বিরাট আঙ্কলের’ একখানা ছবি নিয়ে। আসলে এককালে কবীরের বাবা শাভেজ দিল্লির অনূর্ধ্ব ১৭, অনূর্ধ্ব ১৯ বিবিধ পর্যায়ে খেলেছিলেন কোহলির সঙ্গে। ছোট্ট কবীর গিয়ে কোহলিকে জিজ্ঞাসা করে, ভারতের হয়ে খেলতে গেলে কী করতে হবে? উত্তরে কোহলি তাঁকে বলেন যে, “পরিশ্রম করতে হবে। অক্লান্ত প্র্যাকটিস করতে হবে। আর প্র্যাকটিসে যাওয়া নিয়ে বাবাকে যেন বলতে না হয় তোমাকে। তুমিই বরং বাবাকে বলবে যে, প্র্যাকটিসে যাব।” দিল্লি টিমকেও মৃদু বকুনি দেন শেষে। বলে দেন, “আরে তোমরা তো দিল্লির ছেলে। সেই দমটা দেখাও। শুরুটা ভালো করেও পরে পারলে না। পজিটিভ ক্রিকেট খেলো, যেমন দিল্লির ছেলেরা খেলে থাকে।”

ওই যে বলে না, রাজা চিরকাল রাজাই থাকে। সে ফর্ম থাক আর না থাক!

Leave a Reply