দিল্লিতে প্রস্তুতি শুরুর পর থেকেই বিরাট কোহলিকে নিয়ে উন্মাদনা শুরু। ম্যাচের দিন সকাল থেকে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দীর্ঘ লাইন। পরিস্থিতি এমন ছিল, জটলা নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্যও করতে হয়। গৌতম গম্ভীর স্ট্যান্ড ফুল। প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার দর্শকাসনের পরিকল্পনা থাকলেও তাতে কুলোয়নি। অন্তত ১৫ হাজার ক্রিকেট প্রেমী বিরাট ম্যাচ দেখতে হাজির। দ্বিতীয় দিন আরও আসনের বন্দোবস্ত করা হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। প্রথম দিন অবশ্য বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখার সুযোগ হল না।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। প্রথম সেশনেই রেলওয়েজের পাঁচ উইকেট ফেলে দেওয়ায় মনে করা হয়েছিল ইনিংস শেষ যেন সময়ের অপেক্ষা। যদিও দ্বিতীয় সেশনে দুর্দান্ত ব্যাটিং রেলওয়েজের। আইপিএলে বিরাটের সতীর্থ ছিলেন করণ শর্মা। ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতেও নজর কাড়লেন। উপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপও গড়েন।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে অবশেষে নবদীপ সাইনি ব্রেক থ্রু দেন দিল্লিকে। শেষ সেশনে রেলওয়েজ অলআউট ২৪১ রানে। উপেন্দ্র যাদব ৯৫ রান করেন। করণ শর্মা ৫০। দিল্লির পেসার নবদীপ সাইনি এবং স্পিনার সুমিত মাথুর তিনটি করে উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১ রানেই ডাগআউটে দিল্লির ওপেনার অর্পিত রানা। সনৎ সাঙ্গওয়ানের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন যশ ধূল। আর এক উইকেট পড়লেই বিরাট নামতেন।
এই খবরটিও পড়ুন
প্যাড পরে রেডিও ছিলেন বিরাট কোহলি। ড্রেসিংরুমের সেই ছবি বারবার টেলিভিশন ও মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে ধরা পড়ে। সনৎ ও যশ বেশ কিছু ডেলিভারিতে বিট হন। তবে দিল্লির ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য় যেন আউট না হওয়াটাই হতাশার! অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই দিন শেষ করেন যশ ও সনৎ। বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখার জন্য দ্বিতীয় দিন যে আরও ভিড় হবে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে, বলাই যায়।