আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়ার দৌড়ে বহু দিন ধরেই ছিলেন। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই সেটা হতে পারত। যদিও অসুস্থ হয়ে পড়ায় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে টেস্ট অভিষেক হয় হর্ষিত রানার। ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি তখনও বাকি। ঘরের মাঠে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে একাদশেও থাকার সম্ভাবনা ছিল। সেটাও হয়নি। অবশেষে টি-টোয়েন্টিতে দেশের জার্সিতে অভিষেক হল নাটকীয় ভাবে। আর সেই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন কেকেআরের তরুণ পেসার হর্ষিত রানা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে উঠে আসা। তাঁর বোলিংয়ে মুগ্ধ ছিলেন গৌতম গম্ভীর। ব্যাটের হাতও মন্দ নয়। যদিও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে তাঁকে খেলানোয় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। হয়তো সে কারণেই ইংল্য়ান্ড সিরিজে তাঁকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পুনেতে ভারতের একাদশে তিনটি পরিবর্তন হয়। রিঙ্কু সিং, শিবম দুবে এবং অর্শদীপ সিং ফেরেন। হর্ষিত ওয়েটিং লিস্টেই ছিলেন।
টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে ভারত। শুরুতে প্রবল চাপে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ায়। আর এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে। যদিও ব্য়াটিংয়ের সময় একটি বাউন্সার হেলমেটে লাগে শিবম দুবের। কনকাশন প্রোটোকলে তাঁকে বিশ্রাম দিতে বাধ্য হয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে একাদশে আনা হয় হর্ষিত রানাকে। কোচ গৌতম গম্ভীরের ভরসার মর্যাদাও রাখলেন। অন্য কোনও চোটের কারণে পরিবর্ত নামালে তাঁকে অবশ্য় শুধুই ফিল্ডিং করানো যেত। কনকাশন পরিবর্ত সবই করতে পারেন।
ভারতের জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন সুপার-সাব হর্ষিত। লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জেকব বেথেলের মতো ইংল্য়ান্ডের দুই বিধ্বংসী ব্য়াটারকে ফেরান। কেকেআর বোলিং আক্রমণে স্লগ ওভারের অন্য়তম ভরসা হর্ষিত। জাতীয় দলের জার্সিতেও একই ভূমিকায় সফল। ইনিংসের ১৯তম ওভারে তাঁকে আক্রমণে আনা হয়। তখনও ম্য়াচ জেতার যথেষ্ট সুযোগ ছিল ইংল্য়ান্ডের। তবে জেমি ওভার্টনকে বোল্ড করে সেই সম্ভাবনা শেষ করে দেন। কনকাশন পরিবর্ত হিসেব একাদশে নামা, প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। ৪ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হর্ষিত রানা। ফুটবলে সুপার-সাব কথাটা খুবই পরিচিত। ক্রিকেটেও যেন সেটাই হয়ে উঠলেন হর্ষিত।