প্রলোভনে পা দিও না… তরুণ প্রজন্মকে মূল্যবান পরামর্শ সচিন তেন্ডুলকরের


সচিন তেন্ডুলকর। বিশ্ব ক্রিকেটকে এই নাম কতটা উদ্বেলিত করে নতুন করে বলার নেই। কেরিয়ারে অপ্রাপ্তি খুঁজে পাওয়াই কঠিন। সব খ্য়াতি, সম্মান, রেকর্ড অর্জন করেছেন। সবটা একদিনে হয়নি। প্রতিভা অনেকেরই থাকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে শাসন করার জন্য় প্রয়োজন ধৈর্য এবং অধ্যাবসায়ও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই কিংবদন্তিতে যোগ্য় সম্মান জানাল। তাঁকে জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হল বোর্ডের তরফে। সচিন অনেক কথাই বললেন, নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। বর্তমান এবং তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটাররা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনলেন ক্রিকেট ঈশ্বরের কথা। এর মাঝে মূল্য়বান পরামর্শও দিলেন।

ঠিক গল্পের মতো বলতে শুরু করেন মাস্টার ব্লাস্টার। দু-একদিন আগেই ব্য়াট নিয়ে এমনি প্র্য়াক্টিস করছিলেন। ইন্ডোরে প্র্যাক্টিস। ব্যাটে-বলের সেই সাউন্ড তাঁকে পুরনো দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। অবসরের পর উপলব্ধি করতে পেরেছেন, খেলোয়াড় জীবন কতটা সুন্দর ছিল। সচিন তেন্ডুলকর বলেন, ‘২০১৩ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সেই মুহূর্তটা কোনও দিন ভুলব না। ভালোবাসার বন্য়ায় ভেসে গিয়েছিলাম। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। টিমের সকলে যখন গার্ড অব অনার দিল, তখন বুঝতে পারি, আমার খেলোয়াড় জীবন শেষ। উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম, আগের দিনগুলো কতটা মূল্যবান ছিল।’

এরপরই তিনি যোগ করেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের সমস্ত ক্রিকেটারকেই বলব, এই জীবনটাকে উপভোগ করো।’ বোর্ডের এই অনুষ্ঠানে ভারতের পুরুষ ও মহিলা সিনিয়র দলের ক্রিকেটাররা যেমন ছিলেন, তেমনই নতুন প্রজন্মের একঝাঁক ক্রিকেটার। প্রাক্তনরাও। তরুণ প্রজন্মের জন্য় সচিনের মূল্যবান পরামর্শ। বলেন, ‘ক্রিকেট তোমাদের জীবনে উপহার। একে মূল্য দিও। আমরা কিন্তু এত পরিকাঠামো পাইনি। তারপরও সব কিছু ম্যানেজ করেছি। তোমাদের কাছে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কোনও প্রলোভন যেন কেরিয়ারে প্রভাব ফেলতে না পারে, সেদিকে নজর রেখো। খেলার প্রতি ফোকাসড থেকো। সুযোগগুলোকে সম্মান দিও। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করো। একটা দিন উপলব্ধি করতে পারবে, তোমরা কতটা ভাগ্যবান ছিলে যে এই খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছো।’

Leave a Reply