শিলাজিৎ সরকার: দু’জনই কিছুদিন আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন নিজের বিভাগে। কিন্তু চলতি জাতীয় গেমসে বদলে গিয়েছে একজনের পদকের রং। সাঁতারের ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে সোনা ধরে রাখলেন বাংলার সৌবৃতি মণ্ডল।
তবে ভারোত্তোলনের ৫৫ কেজি ক্যাটেগরিতে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল শ্রাবণী দাসকে। তবে হাওড়ার দুই কন্যারই পাখির চোখ এখন এশিয়ান গেমস। আগামী বছরের এই মেগা ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জন করা ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না তাঁরা।
চলতি জাতীয় গেমসের তৃতীয় দিনে এসে প্রথম সোনাটা পেল বাংলা। আনলেন ২৩ বছরের সৌবৃতি। বছর দেড়েক আগে গোয়ায় জাতীয় গেমসে ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে রুপো পেয়েছিলেন সালকিয়ার এই তরুণী। এবার পদকের রং সোনালি করার পথে ২ মিনিট ২৪ সেকেন্ড সময় লাগল তাঁর। যদিও সৌবৃতির সেরা সময় ২ মিনিট ২১ সেকেন্ড। তবে সেটা আরও অন্তত তিন সেকেন্ড কমিয়ে ফেলাই লক্ষ্য তাঁর। কারণ এশিয়ান গেমসের যোগ্য হতে সেটা করতেই হবে। উত্তরাখণ্ড থেকে ফোনে বলছিলেন, “এর আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছি। এবার জাতীয় গেমসেও জিতলাম। ভালো লাগছে। তবে আমাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে সময়টা ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে নামিয়ে আনতে হবে। কারণ এবার আমার লক্ষ্য এশিয়ান গেমসের দলে জায়গা করে নেওয়া।”
অবশ্য উত্তরাখণ্ডে পদক জয়ের জন্যও বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়েছে সৌবৃতিকে। কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে। বলছিলেন, “আমি দিল্লিতে ইন্ডোর পুলে অনুশীলন করি। সেখানে হিটার থাকে। কিন্তু এখানে সেই ব্যবস্থা থাকবে কি না, স্পষ্ট ছিল না। সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি, ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও ছিল চ্যালেঞ্জ। সেজন্য দিল্লিতে ঠান্ডার মধ্যে বাইরে থাকতাম। পরিস্থিতিটা কী হতে পারে, তা ভিসুয়ালাইজ করার চেষ্টা করতাম।” সঙ্গে সংযোজন, “তাছাড়া আমার শ্বাসকষ্ট, সাইনাসের সমস্যা আছে। ফলে আমার জন্য চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি ছিল। এখানে আসার পর থেকেই শ্বাসকষ্ট আর কাশি হচ্ছে। আজকে তা নিয়েই পুলে নেমেছিলাম।” কিন্তু সেসব সমস্যাও ঠেকাতে পারেনি ইনকাম ট্যাক্সে কর্মরত এই বঙ্গকন্যাকে।