ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতা মিনি ডার্বি। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচেরই প্রত্য়াশা ছিল। বড় টিমের ম্যাচে পরিসংখ্যান, শক্তি-দুর্বলতা কোনও কিছুই হিসেবে থাকে না। ম্যাচের পারফরম্যান্স, স্নায়ুর চাপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে প্রথম বার আইএসএল খেলতে নামা মহমেডানের কাছে কার্যত অসাধ্য সাধন করার লড়াই ছিল। সেটা আর হয়নি। জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান। নিজেদের দলগত শক্তি এবং পরিসংখ্যানের মর্যাদা রাখলেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। মিনি ডার্বিতে মহমেডানকে ৪-০ ব্যবধানে হারাল মোহনবাগান। জোড়া গোল শুভাশিস ও মনবীরের। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের মহমেডান তুলনামূলক ভালো লড়াই করল।
প্রথম বার আইএসএলে খেললেও বেশ কিছু ম্যাচে চমকে দিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। চেন্নায়িন এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়। তেমনই আইএসএলের আর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসিকেও অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়েছে তারা। এফসি গোয়ার মতো টিমকে আটকে দিয়েছে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে মহমেডানের সহকারী কোচ মেহরাজউদ্দিন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তাঁর দল লড়াই করবে। লড়াই হল, তবে পুরোটাই ব্যর্থ।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই তিন গোল করে আইএসএলের পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকা মোহনবাগান। সেট পিসেই মূলত দাপট দেখিয়েছে সবুজ মেরুন। ম্যাচের ১২ মিনিটেই টিমকে এগিয়ে দেন মোহনবাগান ডিফেন্ডার তথা অধিনায়ক শুভাশিস বোস। ২০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন মনবীর সিং। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একটি গোল শুভাশিসের। পরের মুহূর্তেই সরাসরি লাল-কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় মহমেডানের বিদেশি ফুটবলার কাসিমোভকে।
দশ জনে পরিণত হওয়ায় আরও চাপে পড়ে মহমেডান। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ঘর বাঁচানোয় সফল। প্রথমার্ধে তিন গোল করলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের মহমেডানের বিরুদ্ধে আর একটি মাত্র গোল করতে পেরেছে। ৫৩ মিনিটে দলের চতুর্থ এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মনবীর।