ঋদ্ধিমানকে কাঁধে তুললেন দুই তরুণ, বর্ণময় অধ্যায় শেষে কী বললেন পাপালি?


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জোর করেই প্রাক্তন করে দেওয়া হয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতিতেও দলে ডাকা হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট বার্তা দিয়েছিল ভবিষ্যতের কথা ভাবা হচ্ছে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই ঋদ্ধি। কোনওদিনই অভিযোগ, অজুহাতের পথে হাঁটেননি। দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। গর্বের পারফরম্যান্সও রয়েছে। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা কিছু ক্যাচ। এখন সবটাই থেকে যাবে স্মৃতি হিসেবে। এ মরসুমের শুরুতেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, রঞ্জি ট্রফি খেলেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। ইডেন গার্ডেন্সে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিতেই প্লেয়ার হিসেবে কেরিয়ারে ইতি টানলেন ঋদ্ধিমান সাহা।

বাংলা ক্রিকেটে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঋদ্ধির জায়গা কে নিতে পারেন? এই প্রশ্নের আপাতত একটাই উত্তর। অভিষেক পোড়েল। বাংলার হয়ে খেলছেন, ভারত এ দলেও খেলেছেন। তেমনই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও নজর কেড়েছেন। ইডেনের এই ছবিটা যেন বার্তা দিচ্ছে, ঋদ্ধির ব্যাটন বয়ে নিয়ে যাবেন অভিষেক। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট হাতে নামার প্রয়োজন পড়েনি। অনবদ্য পারফরম্যান্সে ইনিংসেই জিতেছে বাংলা।

ম্যাচ শেষে গ্লাভস হাতে দুই তরুণ সতীর্থ অভিষেক পোড়েল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিকের কাঁধে ঋদ্ধিমান সাহা। সঙ্গে বাকি সতীর্থরাও। এ ভাবেই মাঠ ছাড়লেন বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার। আবেগী ঋদ্ধি বলেন, ‘সত্যিই সফরটা দীর্ঘ। প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। যে দলের হয়েই খেলেছি, চেষ্টা করেছি অবদান রাখার। অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমার এই দীর্ঘ সফরে যাঁরা সঙ্গী ছিলেন, প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এ বার পরিবারকে সময় দিতে চাই।’

এই খবরটিও পড়ুন

ঋদ্ধির এক সময়ের সতীর্থ তথা বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, ‘ঋদ্ধি সবসময়ই টিমম্যান। তরুণদের কাছে প্রেরণা। ওর সবচেয়ে ভালো দিক, ও যখন জাতীয় দলেও খেলত, সুযোগ পেলে ক্লাবের হয়েও নেমে পড়েছে। এই দায়বদ্ধতা সকলের থেকে ওকে আলাদ করে। কেরিয়ারের শুরু থেকে এই অবধি ও একইরকম রয়ে গিয়েছে।’ দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট, ৯টি ওয়ান ডে খেলেছেন। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১৪২টি ম্যাচ, ১১৬টি লিস্ট এ ম্যাচ। ২০০৭ সালে বাংলার জার্সিতে পথচলা শুরু হয়েছিল হায়দরাবাদে, সফর শেষ হল সেই বাংলার জার্সিতেই ইডেন গার্ডেন্সে।

Leave a Reply