শিলাজিৎ সরকার: বছর দেড়েক আগে গোয়ায় জাতীয় গেমসে জোড়া রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সৌবৃতি মণ্ডলকে। এবার উত্তরাখণ্ড যাওয়ার আগেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, একটা সোনা জিততেই হবে। দিন দুয়েক আগে ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে প্রথম সোনাটা জয়ের পর লক্ষ্যটা একটু বদলে ফেলেন হাওড়ার এই তরুণী। নিজের তিন বিভাগেই সোনা জিতে হ্যাটট্রিক করাকেই পাখির চোখ করে ফেলেন তিনি। আর রবিবার ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে সোনা জিতে সেই লক্ষ্য পূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন সৌবৃতি।
এদিন সোনা জয়ের পথে ১ মিনিট ৬.৬৬ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন সৌবৃতি। যা তাঁর সেরা সময় ১ মিনিট ৫.৫৩ সেকেন্ডের থেকে কিছুটা বেশি। তবে উত্তরাখণ্ডের পুলে শুধু অন্য রাজ্যের প্রতিযোগীরা নয়, সৌবৃতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে আরও কিছু বিষয়। কী কী? সে কথাই শোনাচ্ছিলেন সৌবৃতি, “এমনিতেই আমার সাইনাসের সমস্যা আছে। ফলে এখানে আমার শ্বাসকষ্ট, কাশি হচ্ছে। পাহাড়ি পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সাফোকেশনের মতো সমস্যা অনুভব করছি। সেই সঙ্গে আরও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হল আবহাওয়া। এমনিতে হিটার থাকলেও পুলের জল বেশ ঠাণ্ডাই থাকছে। সঙ্গে প্রচণ্ড হাওয়া। এখানে প্রতিযোগী হিসাবে সাঁতার কাটা বেশ কষ্টকর কাজ।” অবশ্য সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়ও বের করে নিয়েছেন তিনি। “আমরা এমনিতেই স্কিনটাইট সুট পরে সাঁতার কাটি। ফলে ঠাণ্ডায় পেশির নড়াচড়া কমে যায়। শরীর ভারী হয়ে যায়। আমি পুলে নামার আগে একটা বিষয় ঠিক করে নিয়েছিলাম। যত দ্রুত সম্ভব পার হয়ে যেতে হবে। আজ সেভাবেই জিতেছি,” বলছিলেন সৌবৃতি।
ব্যাক স্ট্রোকের ২০০ মিটার এবং ১০০ মিটারে সোনালী সাফল্য এসেছে। এবার ৫০ মিটারেও সোনা জিতে হ্যাটট্রিকটা করে ফেলাই লক্ষ্য সৌবৃতির। তিনি বলছিলেন, “গোয়ায় জাতীয় গেমসে দু’টো রুপো পেয়েছিলাম। এখানে দু’টো সোনা ইতিমধ্যেই জিতে ফেলেছি। সোমবার আরও একটা ইভেন্ট আছে। একই ফল করার লক্ষ্য নিয়ে নামব।” আগামী এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে যোগ্যতা অর্জন করার উপর জোর দিচ্ছেন সৌবৃতি। সেজন্য আগামী একটা বছর কাজে লাগানোর উপর জোর দিচ্ছেন দিল্লির তালকাটরা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করা এই বঙ্গ সাঁতারু।