সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২৪ বছরের পুরনো ইতিহাস ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম অ্যাথলিট হিসাবে একই অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ের নজির মনু ভাকেরের নামের পাশে। কিন্তু খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি তাঁর নাম। কেন মনোনীত হলেন না মনু? দাবি, পালটা দাবি নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে।
মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান। কিন্তু মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে মনুর নাম। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভি রামাসুব্রমামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ক্রীড়া দিবস কমিটি খেলরত্নের জন্য যে তালিকা সুপারিশ করেছে, সেখানে মনুর নাম নেই। যদিও ভারতের হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, প্যারালিম্পিকের সোনাজয়ী প্রবীণ কুমাররা মনোনয়ন পেয়েছেন।
কেন মনু মনোনয়ন পেলেন না? ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, মনু নাকি খেলরত্নের জন্য আবেদনই করেননি। আবার মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকেরের বক্তব্য, তাঁরা আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কমিটির তরফ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, অলিম্পিকে জোড়া পদক জিতেও কি পুরস্কারের জন্য হাত পাততে হবে? তিনি আরও বলছেন, “এভাবে কি অ্যাথলিটদের উৎসাহ দেওয়া যায়? কেন অভিভাবকরা সন্তানদের খেলাধুলোয় উৎসাহ দেবে? তার থেকে সরকারি আধিকারিক হওয়ার জন্য বলবে।”
এই প্রসঙ্গে ফিরে আসছে মহম্মদ শামির ঘটনা। চলতি বছরেই তিনি আবেদন না করেও অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বিসিসিআই থেকে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, মনুও ২০২০ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন। অক্টোবর মাসে তিনি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি কি ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের দাবিদার?’ নেটিজেনরা ট্রোল করায় পরে পোস্টটি ডিলিটও করে দেন। সেটাও ফের আলোচনায় উঠে আসছে। আবার ক্রীড়ামহলের আরেকটা অংশের বক্তব্য, মনুকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তাঁর খেলরত্ন পুরস্কার পাওয়ার সময় অবশ্যই আসবে।