কলকাতা: কেন ক্রিকেটকে অনিশ্চয়তার খেলা বলে, প্রমাণ হল আরও একবার। শেষ না হলে শেষ কথা বলা যে যায় না, তাও দেখিয়ে দিল বাংলা। নির্যাস হিসেবে এটুকু বললে কি সবটা বলা হবে? একেবারেই নয়। একঝলকে বলা যেতে পারে, হরিয়ানা ৩৮৯-৫ তুলে ভেবেছিল, সেমিফাইনাল নিশ্চিত। কিন্তু ঘটল অন্যরকম কিছু। ৫ বল বাকি থাকতে ৩৯০-৫ তুলে জিতে গেল বাংলা। মেয়েদের সিনিয়র ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে বাংলার এমন পারফরম্যান্স অতীতে কখনওই দেখা যায়নি। কিন্তু তনুশ্রী সরকার, প্রিয়াঙ্কা বালারা অকল্পনীয় কিছু করার জন্যই নেমেছিলেন মাঠে। হরিয়ানাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারে উঠে পড়ল বাংলা।
শেফালি ভার্মার দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল শুরুতেই। ওপেন করতে নেমে ১১৫ বলে ১৯৭ করে যান তিনি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, রাজকোটের মাঠে বাংলার জন্য একরাশ উৎকন্ঠা থাকছে। বিপুল রান টপকানো সহজ হবে না। হরিয়ানার রিমা সিসোদিয়া, সোনিয়া মেন্ধিয়ারা হাফসেঞ্চুরি করেন। বাংলার একমাত্র সফল বোলার তনুশ্রী সরকার। ১০ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ঝুলিতে রয়েছে শেফালির উইকেটও। বাংলার ক্যাপ্টেন সায়কা ইসাক বল হাতে তেমন সফল নন। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৭৩ রান।
বল হাতে যে কাজটা শুরু করেছিলেন, ব্যাট হাতে সেটাই শেষ করলেন তনুশ্রী। শুরুটা বাংলা চমৎকার করেছিল। দুই ওপেনার ধারা গুজ্জর ও ষষ্ঠী মণ্ডল হাফসেঞ্চুরি করেন। তিন নম্বরে নেমে সেই কাজটাই এগিয়ে নিয়ে যান তনুশ্রী। মাত্র ৮৩ বলে ১১৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। বাকি কাজটা দায়িত্ব নিয়ে করে যান প্রিয়া বালা। বাংলার উইকেট কিপার প্রিয়া ৮১ বলে ৮৮ করে নট আউট থেকে যান। ৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় বাংলা। মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলার অতীতেও সাফল্য রয়েছে। কিন্তু ছেলেদের ক্রিকেটের মতো মেয়েদের ক্রিকেটেও এখন প্রতিযোগিতা কম নেই। তার উপর রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুর মতো তারকা ক্রিকেটাররা ছিলেন না। তাও সত্ত্বেও জিততে অসুবিধা হয়নি।