সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্ষণে ভুল, গন্ডগোল দল নির্বাচনেও। আর বাকিটা চেনা ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। চুম্বকে এই হল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের সারসংক্ষেপ। শেষ পর্যন্ত অস্কার ব্রুজোর দল হারল ২-৩ গোলে। প্রথমার্ধে দুগোলে পিছিয়ে থেকেও সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে হিজাজির একটা ভুল পয়েন্টের আশা নষ্ট করে দিল। ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ১১তম স্থানেই পড়ে রইল ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ ১১ জানুয়ারির ডার্বির আগে নাজেহাল দশা অব্যাহত রইল অস্কার ব্রুজোর দলের।
যুবভারতীতে এদিন অস্কার ব্রুজো যে দলটা নামালেন তার সাইড ব্যাকে ছিলেন প্রভাত লাকরা। ওই উইংয়েই ছিলেন নন্দ কুমার। প্রথমার্ধে দুজনের জুটি প্রবলভাবে ডোবাল ইস্টবেঙ্গলকে। প্রভাতকে অনায়াসে টপকে গেলেন বিক্রম প্রতাপ সিং। এমনকী সেই সুবিধা নেওয়ার জন্য জায়গা বদল করে নিচ্ছিলেন মুম্বইয়ের ছাংতেও। নন্দ দাঁড়িয়ে রইলেন মূর্তির মতো। ইস্টবেঙ্গলের ডানদিক দিয়ে তখন মুহুর্মুহু আক্রমণ। একবার গোললাইন থেকে সেভ করলেন ইউয়েস্তে। কিন্তু কতক্ষণ? ৩৯ মিনিটে ব্র্যান্ডনের সাজানো বল থেকে গোল করে গেলেন ছাংতে। ইউস্তে-হিজাজিদের নিয়ে হাইলাইন ডিফেন্স খেলার ফল আবার ভুগতে হল ৫ মিনিটের মধ্যে। মাঝমাঠ থেকে নির্বিষ একটি বল ঢুকে পড়ে লাল-হলুদের রক্ষণে। ইউস্তে দৌড়েও পৌঁছতে পারলেন না। সময়মতো এগিয়ে এলেন না প্রভসুখন গিলও। মুম্বইয়ের নিকোস কারেলিস প্রথম সুযোগে গোল মিস করলেও ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দিলেন।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ‘ভুল’ বোঝেন অস্কার। প্রভাত ও নন্দকে তুলে নামান নিশু কুমার ও মহেশ সিংকে। ইস্টবেঙ্গলের খেলা যেন আমূল বদলে গেল। বিষ্ণুর সঙ্গে সাইড বদল করে মহেশ চলে এলেন ডানদিকে। এবার দুদিক দিয়ে শুরু হল লাল-হলুদের ঝড়। ফাঁকা গোলের সামনে দিয়ামান্তোকোস অল্পের জন্য একটি বলের নাগাল পেলেন না। অবশেষে ৬৬ মিনিটে গোলের দেখা পেল ইস্টবেঙ্গল। মহেশের শট মুম্বইয়ের গোলকিপার বাঁচানোর পরও বল বিপদমুক্ত হয়নি। ফিরতি বল সাহিল পানওয়ারের পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়ে যায়। ৮৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরালেন আরেক বদলি ডেভিড। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা বল বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।
পিছিয়ে থেকেও দুগোল ফিরিয়ে তখন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে লাল-হলুদ। কিন্তু হিজাজি মাহের যে ভুলটি করলেন, তা ক্ষমার অযোগ্য। আর যাই হোক, এই নিয়ে ‘প্রত্যাবর্তন’ হয় না। মুম্বইয়ের মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল পায়ের তলা দিয়ে গলিয়ে দিলেন তিনি। পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কারেলিস। এমন সুযোগ ছাড়ার মতো ভুল তিনি করেননি। ঠান্ডা মাথায় ৩-২ করে দিলেন তিনি।