অস্ট্রেলিয়া সফরে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে জসপ্রীত বুমরার। সিডনি টেস্টে চোটের কারণে বোলিং চালিয়ে যেতে পারেননি। নয়তো ম্যাচটা আরও ক্লোজ হত। ভারতের জেতার সম্ভাবনাও তৈরি হত। সিরিজ অন্তত ড্র করে ফেরা যেত। ভারতের আর কোনও বোলারের ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি। সিরাজ শেষ দিকে জ্বলেছেন। প্রসিধ কৃষ্ণও সিডনি টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন এবং নজর কেড়েছেন। হর্ষিত রানাও সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন। কিন্তু বুমরার মতো ধারাবাহিকতা কেউই দেখাতে পারেননি। সিরিজে ভারতের আনলাকি বোলার ছিলেন আকাশ দীপ।
সিরিজে যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন, দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আকাশ দীপ। হিসেব করলে দেখা যাবে, তাঁর বোলিং খেলতে হিমসিম পরিস্থিতি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটারদের। যদিও উইকেটের কলামে তার প্রভাব দেখা যায়নি। এই সিরিজ আকাশ দীপের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারত। ভালো বোলিং করলেও তার পুরস্কার পাননি। তাঁর বোলিংয়ে ক্যাচও ফসকেছে। বোর্ড কর্তা চিন্তিত, টেস্ট দলে আকাশ দীপের যাওয়া-আসা নিয়ে।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টেস্টে অভিষেক হয়েছিল আকাশ দীপের। এরপর থেকে টিমে এসেছেন, বাদও পড়েছেন। একাদশে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ টেস্টে তাঁর চোট ছিল। এ ছাড়াও তাঁকে ধারাবাহিক খেলানো হয় না। যা খুবই চিন্তার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘মেলবোর্ন টেস্টে দেখা গিয়েছে, হয় খুব শর্ট অব লেন্থে নয়তো অনেক বেশি ফুল লেন্থ। ওর যা বয়স, একাদশে বারবার যাওয়া আসা কেরিয়ারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।’
এই খবরটিও পড়ুন
সিডনি টেস্টের আগে চোট পাওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটেও এখনই ফেরা হচ্ছে না আকাশ দীপের। তিনি বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাবে থাকবেন। বোর্ড কর্তা আরও বলেন, ‘ওর পিঠের চোটটাও কিন্তু সমস্যায় ফেলছে। এই সমস্যাটা বাংলার হয়ে অভিষেকের সময়ও ছিল। এই চোট নিয়ে ওর ভাবা প্রয়োজন রয়েছে।’