‘আমরা আন্ডারডগ নই’, চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়েও ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল কোচ


স্টাফ রিপোর্টার: আইএসএল ডার্বির আর আটচল্লিশ ঘণ্টা বাকি। আটচল্লিশ ঘণ্টা আগের ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে সব থেকে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়াল, আনোয়ার আলির ট্রেনিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। যার পর প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি তিনি ডার্বিতে নেই? আগের ম্যাচেই চোট পেয়েছিলেন আনোয়ার। আর বৃহস্পতিবার যা বোঝা গেল, তাতে ডার্বিতে এখনও অনিশ্চিত ইস্টবেঙ্গলের তারকা ডিফেন্ডার। কম-বেশি চোট-আঘাতের তালিকায় রয়েছেন সৌভিক চক্রবর্তী, মহম্মদ রাকিপ, সল ক্রেসপো, প্রভাত লাকড়া। যদিও এদিন ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে হাজির ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেব্রত সরকার জানিয়ে গেলেন, ডার্বিতে নতুন বিদেশি রিচার্ড সেলিসের বেঞ্চে বসার সম্ভাবনা প্রবল। তাঁকে ম্যাচের আগে সরাসরি গুয়াহাটিতে উড়িয়ে আনার চেষ্টা করছেন লাল-হলুদ কর্তারা।

চোট-আঘাত নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, “আনোয়ার নিয়ে আরও আটচল্লিশ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। যদি ও না পারে তাহলে প্ল্যান বি অনুযায়ী কাজ করব। সলের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ও সবে মাত্র এসেছে। মনে হয় না ও খেলতে পারবে।” যদিও এত সমস্যার মধ্যেও লাল-হলুদ কোচ নিজেদের আন্ডারডগ বলতে নারাজ। কলকাতা ছাড়ার আগে জোরের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচের পাল্টা প্রশ্ন, “এই ধরনের ম্যাচে কি কোনও আন্ডারডগ থাকে? ম্যাচ পুরোপুরি ৫০- ৫০। মোহনবাগানও সমস্যায় ছিল।” তবে কলকাতায় ডার্বি না হওয়ায় হতাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ। কোচের পদ থেকে কার্লেস কুয়াদ্রাত সরে যাওয়ার পর যেদিন তড়িঘড়ি অস্কারকে কলকাতা উড়িয়ে আনা হয়েছিল, সেদিনই ছিল আইএসএলের বড় ম্যাচ। তাই কলকাতায় পা রেখেই গত ডার্বিতে ডাগ আউটে বসলেও সেবার একদিনও প্লেয়ারদের অনুশীলনে দেখার অবকাশ পাননি তিনি। ইস্টবেঙ্গলও জয় পায়নি। তাই এবারের ডার্বিটাই যেন ‘প্রথম’ ডার্বি হতে চলেছে অস্কার ব্রুজোর কাছে।

জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংসের মতো ফুটবলার থাকবেন মোহনবাগানের আক্রমণভাগে। তার উপর গ্রেগ স্টুয়ার্ট সুস্থ হয়ে উঠছেন। মোহনবাগানের আক্রমণভাগকে থামাতে কি পারবে লাল-হলুদের রক্ষণ? অস্কার বললেন, “ওদেরও কিন্তু আমাদের থামাতে হবে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করব। ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষ নিয়ে আমরাও বিশ্লেষণ করছি।” রেফারি নিয়ে আগে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ডার্বির আগে আর রেফারি নিয়ে অসন্তোষের কথা শোনা যায়নি অস্কারের মুখে। গুয়াহাটির মাঠে ডার্বি খেলতে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, সন্তোষ ট্রফি জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলের অনুশীলনে যোগ দিলেন বাংলা অধিনায়ক চাকু মাণ্ডি। যিনি এত দিন থাকতেন রিজার্ভে।

Leave a Reply