ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে ‘ভিলেন’ শিশির! সময়ের সঙ্গে লড়ে চলছে পিচ তৈরির কাজ


রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: শহরে ভারত-ইংল‌্যান্ড টি-টোয়েন্টি মহাযুদ্ধের আর দিন কয়েক বাকি। তার আগে নতুন এক ‘প্রতিবন্ধকতা’র সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইডেনের মাঠকর্মীদের। যে প্রতিবন্ধকতার নাম সময়!

আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত বনাম ইংল‌্যান্ড পাঁচ ম‌্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যে সিরিজের প্রথম ম‌্যাচ ইডেনে। যে ম‌্যাচে আবার ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত‌্যাবর্তন ঘটছে মহম্মদ শামির। ২০২৩ সালে দেশের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের এই প্রথম মাঠে নামছেন শামি। মঙ্গলবার ইডেনে টিকিট প্রত‌্যাশীদের লাইনও দেখা গেল। কিন্তু খেলাটা আদৌ ভালো হবে তো? কে জানে! কারণ, অন‌্য কেউ নন। তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন ইডেনের মাঠকর্মীরাই। কেন, হঠাৎ কী হল?

আসলে ভারত-ইংল‌্যান্ড টি-টোয়েন্টির জন‌্য দিন ষোলো-সতেরো সময় পেয়েছেন মাঠকর্মীরা। যাঁদের বয়ান অনুযায়ী, শীতকালে খেলা পড়লে নিদেনপক্ষে দেড় মাস মতো সময় লাগে পিচ-মাঠ তৈরি করতে। বলা হল, শীতকালে ঘাস দ্রুত বাড়ে না। সময় লাগে। গরমকালে সময়টা একটু কমে দাঁড়ায় এক মাস মতো। না, দোষ সিএবির নয়। আসলে গত বছর শেষ দিকে পরের পর বোর্ডের ম‌্যাচ হয়েছে ইডেনে। যার মধ‌্যে সিনিয়র মহিলা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট যেমন ছিল, তেমনই ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফির ম‌্যাচ। সঙ্গে অনূর্ধ্ব ২৩ ওয়ানডে-র গোটা কয়েক ম‌্যাচ হয়েছে। সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটের কিছু ম‌্যাচ। ইডেন মাঠকর্মীদের কারও কারও বক্তব‌্য হল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন‌্য মাঠ তৈরি করতে যে পর্যাপ্ত সময় লাগে, তা এবার পাওয়া যায়নি। বলা হল, প্রাণান্ত চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ইডেন পিচের চেনা চরিত্র ধরে রাখা যায়। যে চরিত্র অনুপাতে, পিচে গতি-বাউন্স থাকে। বল ভালো ব‌্যাটে আসে। ব‌্যাটারদের স্ট্রোক খেলতে সুবিধে হয়। এবং সঙ্গে অল্প-বিস্তর বল টার্নও করে।

তা, শেষ পর্যন্ত ইডেন পিচ কেমন হবে, জানার জন‌্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই। তবে জানুয়ারি শেষের ইডেনে ভারত-ইংল‌্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে শিশির একটা বড় ‘ফ‌্যাক্টর’ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইডেনে এখন সন্ধে নামলেই শিশির পড়ছে। সচরাচর আকাশ পরিষ্কার থাকলে শিশিরও বেশি পড়ে। খতিয়ে দেখা হয়েছে যে, রাত আটটা থেকে শিশির পড়া শুরু হচ্ছে। যে কারণে ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ বললেন, আগামী ২২ জানুয়ারি ভারত টস জিতলে ফিল্ডিং নিলেই ভালো। পরে ব‌্যাটিং করতে সুবিধে হবে। কারণ, রাত যত বাড়বে, শিশিরের প্রকোপে বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

Leave a Reply