‘তোমার সব ডেলিভারিতেই তো উইকেট দেখতে পাচ্ছি’, ক্যাপ্টেন রোহিতের আস্থায় মুগ্ধ আকাশ দীপ


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তুমি নিজে ব্যাট দিতে চাইছ, আর সেই ব্যাট কে নিতে চাইবে না?’ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের লজ্জাজনক পরাজয়। ১-৩ ব্যবধানে পর্যুদস্ত হয়েছে রোহিতবাহিনী। গাব্বা টেস্টে ভারতের সামনে ছিল ফলো অনের ভ্রুকুটি। সেই পরিস্থিতি থেকে ভারতকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন আকাশ দীপ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফলো অন বাঁচানো তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। ফলো অন বাঁচানোর পর প্যাট কামিন্সের বলে বিশাল ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন আকাশ দীপ। ব্রিসবেন টেস্টে জসপ্রীত বুমরাহ এবং আকাশ দীপের ৪৭ রানের পার্টনারশিপই ভারতকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু জানেন কি, যে ব্যাটে আকাশ দীপ কামিন্সকে ছক্কা মেরেছিলেন, ফলো অন বাঁচিয়েছিলেন, সেই ব্যাটটা আসলে কার? সেই রহস্য বৃহস্পতিবার ফাঁস করে দিলেন স্বয়ং আকাশ দীপ। সংবাদংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের পেসার বলেন, “ওই ব্যাটটা বিরাট ভাইয়ার ছিল। ব্যাটের উপর এমআরএফের লোগোও লাগানো ছিল। এটা সবাই জানে।” কিন্তু ব্যাটটা কীভাবে পেলেন? আকাশ দীপের জবাব, “বিরাটভাই নিজেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আমার ব্যাট লাগবে কি না। আমি বললাম, হ্যাঁ ভাইয়া। তোমার ব্যাট গোটা দুনিয়ায় কে নিতে চাইবে না! তারপরই বিরাট আমাকে ব্যাটটা দেয়।”

রয়‍্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন আকাশ দীপ এবং বিরাট। কিন্তু বিরাটের কাছে ব্যাট চাওয়ার মতো আবদার করা বাংলার পেসার পক্ষে একটু কঠিন ছিল। তাঁর বক্তব্য, “ম্যাচ চলাকালীন বিরাট পুরোপুরি খেলার মধ্যে ডুবে যায়। সেই সময় বিরাটকে বিরক্ত করাটা উচিত নয়। এমনই আমার মনে হয়েছিল। কিন্তু বিরাট নিজে থেকেই ব্যাটটা আমায় দিতে চাইল।” ব্রিসবেনে বুমরাহ ও তাঁর জুটি প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, “আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, কিছুতেই আউট হব না। যতক্ষণ পারব ব্যাট করব। আসলে যত সময় আমরা ক্রিজে থাকব, তত কম সময় আমাদের ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। এই চিন্তাভাবনাও কাজ করছিল। বলটাও ভালো দেখতে পাচ্ছিলাম।”

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে মাত্র দু’টি টেস্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। পাঁচটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি। কিন্তু বাংলার পেসারের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন সবাই। তাঁর বলে বেশ কয়েকটা ক্যাচও পড়েছে। তা না হলে আরও কয়েকটা উইকেট তাঁর ঝুলিতে থাকত। আকাশ দীপ বলছিলেন, “রোহিতভাই আমার উপর আস্থা রেখেছিল। ও বলেছিল, তোমার সব ডেলিভারিতেই তো উইকেট দেখতে পাচ্ছি। অধিনায়কের এই আস্থাটাই তো যথেষ্ট। আমার কাজ ছিল, লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করে যাওয়া। ম্যানেজমেন্টের এমনই নির্দেশ ছিল। রান আটকানোটাও আমার কাজ ছিল।” তিনি একই সঙ্গে জানিয়েছেন, উল্টোদিকে বুমরাহর মতো বিশ্বের সেরা বোলার থাকায় অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। তাঁর বক্তব্য, “কিছু কিছু পরামর্শ বুমরাহ আমাকে দিয়েছে, যা আমাকে উপকৃত করবে। অনেক কিছু শিখেছি ওঁর থেকে। সেগুলো আমার বোলিংয়ে খুব কাজে লাগবে।”

Leave a Reply