স্টাফ রিপোর্টার: সদ্য সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা দিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শুক্রবার ক্লাব লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও ইস্টবেঙ্গল সভাপতি মুরারীলাল লোহিয়া, সহ-সভাপতি কল্যাণ মজুমদার, সচিব রূপক সাহা, আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বাণ দত্ত-সহ অন্যান্যরা। এর আগে ভবানীপুর ক্লাব ও ডায়মন্ডহারবার এফসির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে রবি হাঁসদাদের।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন-সহ ফুটবলারদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ইসরাফিল দেওয়ান, সৌরভ সামন্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল ও উপহার স্বরূপ হাতঘড়ি। সন্তোষ জয়ী ফুটবলারদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার পর ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “ভারতের সেরা কোচ সঞ্জয় সেনের নেতৃত্বে এই জয়। এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এবার তোমাদের লক্ষ্য হোক দেশের হয়ে খেলার।” বাংলা দলের এই ফুটবলারদের উপর নজরদারি রাখতে দু’মাস অন্তর একটা শিবির করার প্রস্তাব দেন তিনি। এই শিবিরের খরচ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে ফুটবলাররা এই সাফল্য আনল, তাদের একটা নজরদারির উপর রাখতে হবে। প্রয়োজনে দু’মাস অন্তর একটা সাত দিনের শিবির করা হোক সঞ্জয় সেনের তত্ত্বাবধানে। সেই শিবিরের খরচ দেবে রাজ্য সরকার।” এদিনও কলকাতা লিগে শুধুমাত্র বাঙালি ফুটবলারদের খেলার পক্ষে সওয়াল করেন অরূপ বিশ্বাস।
ইস্টবেঙ্গল সভাপতি মুরারীলাল লোহিয়া বাংলার কোচ-ফুটবলারদের প্রশংসা করার পাশাপাশি বলেন, “বাংলা আবার ভারত সেরা। এটা গর্বের মুহূর্ত আমাদের জন্য। এই সাফল্যকে ধরে রাখতে হবে আমাদের।” কোচ সঞ্জয় সেন বলছেন, “আগে সন্তোষে খেলত বড় দলে খেলা ফুটবলাররা। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন আইএসএল-আই লিগ খেলা ফুটবলারদের খেলার সম্ভাবনা নেই। ১৮ দিনে ৮ টা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এটা কঠিন বিষয়। তার উপর মূল পর্বে খেলতে হয়েছে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করা সম্ভব হয়েছে ফুটবলারদের জন্যই।” ফুটবলারদের উদ্দেশে তিনি আরও যোগ করেন, “এখন এত সংবর্ধনায় যেন মাথা না ঘুরে যায় তোমাদের।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “ক্রীড়ামন্ত্রী যে শিবিরের প্রস্তাব দিয়েছেন, তা আয়োজন করতে অসুবিধা নেই। আমরা সবাই চাই সন্তোষ জয়ী ফুটবলাররা জীবনে আরও বড় হোক। আইএসএল খেলুক। জাতীয় দলে খেলুক।” এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে বাংলার কোচ সিলেকশন কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।