ম্যাচের সেরা হয়েও তৃপ্ত নন বরুণ, নিজের সাফল্যে লারাকেও কৃতিত্ব দিলেন অভিষেক


রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: তাঁরা দু’জন বুধবারের ইডেন রাতের দুই নায়ক। প্রথম জন বোলার। দ্বিতীয় জন, ব‌্যাটার। তা, দ্বিতীয় জন অর্থাৎ অভিষেক শর্মা নিজের ব‌্যাটিংয়ে খুশি মোটামুটি। কিন্তু প্রথম জন, ভারতীয় রহস‌্যস্পিনার বরুণ চক্রবর্তী অতটাও তৃপ্ত হতে পারছেন না। ইডেনে তিন-তিনটে উইকেট নেওয়ার পরেও নিজেকে দশে সাতের বেশি দিতে চাইছেন না তিনি।

এ দিন ইংরেজ ব‌্যাটিংয়ের তিন স্তম্ভ জস বাটলার, হ‌্যারি ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন–তিনজনকেই তুলে নেন বরুণ। মাত্র ২৩ রান খরচ করে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বরুণ ছাড়া আর কাউকে ম‌্যাচ সেরা নির্বাচন করা যায়নি। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে ভারতীয় অফস্পিনার বলছিলেন, ‘‘সাধারণত আইপিএলে এ রকম পিচ দেখে আমরা অভ‌্যস্ত। পেসারদের জন‌্য এ রকম পিচে বেশি সাহায‌্য থাকে। কিন্তু আমি যে বোলিংটা করি, তাতে এই পিচেও উইকেট তোলা সম্ভব।’’ তবে ইংল‌্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে বল করা যে সহজ ছিল না, স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। বরুণের কথায়, ‘‘ভাগ‌্য ভালো যে জসের উইকেট নিতে পেরেছি। তবে আমাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। দশে সাতের বেশি নিজেকে দিতে পারছি না।’’

ইডেন জয়ের ক্ষেত্রে অবদান কম নয় অভিষেক শর্মারও। কিংবদন্তি যুবরাজ সিংয়ের মন্ত্রশিষ‌্য যিনি। বাংলাদেশ সিরিজটা খারাপ যাওয়ার পর আবার রানে ফিরলেন যিনি। এ দিন রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে বলছিলেন, ‘‘কোচ আর অধিনায়কের কথা এখানে বেশি করে বলব। আমি যখন পারফর্ম করছিলাম না, তখন কোচ-ক‌্যাপ্টেন আমাকে বলেছিল যে নিজের খেলাটা খেলতে। আমি সেটাই চেষ্টা করি। দেখুন, আমার ব‌্যাটিং দর্শন অতীব সহজ। যদি জায়গায় পাই, দরকারে প্রথম বলও ছয় মেরে দেব! তবে একটা কথা। আমার এ রকম আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের পিছনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অবদান অপরিসীম। ওখানেই আমি স্বাধীনতা নিয়ে প্রথম ব‌্যাটিং করা শুরু করি। তা ছাড়া যুবি পাজির (যুবরাজ সিং) প্রচুর সাহায‌্য পেয়েছি। ব্রায়ান লারা যখন সানরাইজার্স কোচ ছিলেন, তখন ওঁর থেকেও প্রচুর সাহায‌্য পেয়েছি। যুবি পাজি, লারা সব সময় আমাকে বলতেন নিজের খেলাটা খেলতে।’’

মহম্মদ শামি কেন টিমে নেই, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছিল অভিষেকের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সেটা টিম ম‌্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।’’

Leave a Reply