স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার বেলা ততক্ষণে অনেকটাই গড়িয়েছে। চেনা ছকেই যুবভারতীতে শুরু হয়েছে লাল-হলুদের অনুশীলন। প্রথমে ফিজিক্যাল ট্রেনিং, তার পর বল পায়ে পাস খেলা। চোট পাওয়া তিন ফুটবলার সল ক্রেসপো, প্রভাত লাকড়া এবং মহম্মদ রাকিপ ছাড়া সকলেই তখন মাঠে। দু’টো দলে ভাগ হয়ে পাস খেলছিলেন ফুটবলাররা। পরে তার সঙ্গেই যোগ হল পাস খেলতে খেলতে হঠাৎ গোলে শট নেওয়া।
সাধারণত এসবের পরই আর পাঁচটা দিনে শুরু হয় প্র্যাকটিসের মূলপর্ব। সিচুয়েশন, সেট পিস প্র্যাকটিস করেন ফুটবলাররা। কিন্তু সেই রাস্তায় গেলই না ইস্টবেঙ্গল। বরং প্র্যাকটিসের প্রায় অর্ধেক সময় ফুটবলারদের দাঁড় করিয়ে ভাষণ দিতে দেখা গেল কোচ অস্কার ব্রুজোকে। বলা ভালো, প্র্যাকটিকাল নয়, অস্কারের থিওরি ক্লাসেই শুক্রবারের কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের প্রস্তুতি সারল ইস্টবেঙ্গল। শেষ তিন ম্যাচে হারের ধাক্কার সঙ্গে একগুচ্ছ চোট সমস্যাও রয়েছে লাল-হলুদে। উপরে উল্লেখিত তিন ফুটবলারের পাশাপাশি আনোয়ার আলিও এই ম্যাচে নেই। তাঁর অনুশীলনে ফিরতে আরও দিন পনেরো লাগবে বলে জানিয়ে গেলেন কোচ স্বয়ং। আবার কার্ড সমস্যায় নেই নন্দকুমার। তবে সাসপেনশন কাটিয়ে ফিরছেন সৌভিক চক্রবর্তী। মাঝমাঠে মহেশ সিংয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি। দুই উইংয়ে রিচার্ড সেলিস ও পিভি বিষ্ণু। ডেভিডের পরিবর্তে আক্রমণে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের সঙ্গে ক্লেটন সিলভার শুরু থেকে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ দু’ম্যাচেই শুরুতে গোল খেয়ে তা আর শোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। আর এক্ষেত্রে আলোচনার কেন্দ্রে দিমিত্রিয়স। বিশেষত এফসি গোয়া ম্যাচে যেভাবে একটার পর একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন, তাতে সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে তিনিই। যদিও পুরনো দলের বিরুদ্ধে দিমিত্রিয়স জ্বলে উঠবেন বলেই মনে করছেন অস্কার। কেরালার নোয়া-লুনা জুটি যে খেলার রং বদলে দিতে পারে, তা জানেন অস্কার। তার উপর হেক্টর ইউস্তে পুরো ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় নেই। তাই জিকসন সিংকে রাইট ব্যাক হিসাবে ব্যবহার করে নোয়ার দৌড় ঠেকানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে গোল খরা না কাটলে কাজে লাগবে না এই ভাবনা।