রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পরই বার্তা চলে আসে অভিজ্ঞ কিপার ব্যাটার ঋদ্ধির কাছে। টিম সামনের দিকে তাকাচ্ছে। টেস্টে পার্মানেন্ট কিপার ব্যাটার পজিশনে জায়গা করে নেন ঋষভ পন্থ। তখনও বিরাটই ক্যাপ্টেন। জাতীয় দল থেকে সেকেন্ড কিপারের পজিশনও হারান। বাদ পড়েন ঋদ্ধি। তবে ঋষভ পন্থ গুরুতর আহত হওয়ার পর একটা সম্ভাবনা জেগেছিল, গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজে ঋদ্ধির মতো সিনিয়রকে ফেরানোর। সেই আশায় জল। শ্রীকার ভরতকে খেলানো হয়। যিনি কিপিং-ব্যাটিং দুই ভূমিকাতেই ফ্লপ। এমনকি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অজিঙ্ক রাহানেকে ফেরানো হলেও ঋদ্ধিকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কি আরও দীর্ঘ হতে পারত?
রাত পোহালেই ইডেন গার্ডেন্সে বাংলা বনাম পঞ্জাব রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। ঋদ্ধিমান সাহা অবসর নিচ্ছেন। এটিই তাঁর বিদায়ী ম্যাচ হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়ে বলেন, ‘আরও সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো ক্যাচ, ইনিংস দেখতে পারতেন। সেটা বাংলার হয়েও চেষ্টা করছি। এনজয় করে চেষ্টা করছি। জাতীয় দল থেকে বাদ কারও একার সিদ্ধান্ত নয়, হয়তো আমি ভালো খেলতে পারিনি। স্বার্থপরের মতো বলতে চাই না। আমার হয়তো আরও ভালো খেলা উচিত ছিল।’
দেশকে ৪০টি টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করায় গর্বিত ঋদ্ধি বলছেন,’অনেকেই হয়তো নিজের জন্য খেলতো, আমি সেটা করিনি বলেই ৪০টা টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমি বেশির ভাগই বিরাটের নেতৃত্বে খেলেছি। অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়ও। ওরা সবসময়ই দেখেছে আমি টিমের জন্যই খেলেছি। কখনও পরিসংখ্যানের জন্য খেলিনি, তা হলে হয়তো টেস্টের গড় আরও ভালো হত। ক্রিকেট টিম গেম। আল্টিমেটলি টিমের হয়ে অবদানটাই আসল।’
কোনও আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিতে চান না। ঋদ্ধি বাস্তবটা পরিষ্কার করে বলেন, ‘কমপ্লেন করলেই কোনও কিছু ফিরে পাওয়া যায় না। সবাই সবকিছু পায় না।’ কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে তখনও অবধি অনেক শুভেচ্ছাবার্তাই এসেছে ঋদ্ধির কাছে। সৌরভও ম্যাচে থাকতে পারেন, এমনটাই প্রত্য়াশা ঋদ্ধিরও।