সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোলবদল বোধ হয় একেই বলে! নিজেই বলেছিলেন, অন্য ধর্মের মহিলাদের স্পর্শ করেন না বলে ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার বৈশালী রমেশবাবুর সঙ্গে হাত মেলাননি। চাপের মুখে ভোল বদলে সেই উজবেক দাবাড়ুই বলছেন, সেদিন বড্ড তাড়াহুড়োয় থাকাই হাত মেলানো হয়নি। এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই। বৈশালীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
দিন তিনেক আগে টাটা স্টিল দাবা টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ২৩ বছর বয়সি ইয়াকুববোয়েভের ম্যাচ ছিল ভারতের বৈশালীর সঙ্গে। সেই ম্যাচ শুরুর আগে প্রথা মেনে ভারতীয় দাবাড়ুর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন ইয়াকুববোয়েভ। স্বাভাবিক নিয়মেই হাত বাড়িয়ে দেন বৈশালী। কিন্তু ইয়াকুববোয়েভ হাত না মিলিয়ে বসে পড়েন। এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বৈশালী যে এই ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন, তা ভিডিও দেখে বোঝা যায়। সেই ম্যাচে যদিও বৈশালীই জিতেছেন।
যাই হোক ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় বিতর্ক। কেন হাত মেলালেন না ইয়াকুববোয়েভ? প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। পরে এর দীর্ঘ ব্যাখ্যাও দেন। যার মূল বক্তব্য ‘ধর্মীয় কারণে’ মহিলাদের শরীর স্পর্শ করেন না তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে মুসলিম দাবাড়ু লেখেন, “আমি মহিলাদের সম্মান করি। কিন্তু সবাইকে জানাতে চাই ধর্মীয় কারণে অন্য কোনও মহিলাকে স্পর্শ করি না।” তাতে বিতর্ক কমার বদলে আরও বেড়ে যায়।
সেই বিতর্ক ধাপাচাপা দিতেই সম্ভবত বৈশালীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে গেলেন উজবেক দাবাড়ু। বৃহস্পতিবার তিনি বৈশালী এবং প্রজ্ঞানন্দর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কাছে ক্ষমা চান। ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে ভারতীয় দাবাড়ুকে বলেন, “আমি সেদিন বড্ড তাড়াহুড়োয় ছিলাম। সেজন্য করমর্দন করা হয়নি। বুঝতে পারছি পরিস্থিতিটা তোমার আর আমার দুজনের জন্যই অস্বস্তিকর। আমি মহিলাদের এবং ভারতীয়দের সম্মান করি। তোমাকে এবং তোমার ভাইকেও সম্মান করি।” বৈশালীও ইয়াকুববোয়েভকে ক্ষমা করে বিতর্কে ইতি টেনেছেন।