Image Credit source: Twitter
Sumeeth Reddy’s CWG Journey: শরীরের নিম্নভাগে পক্ষাঘাত হতে পারে। বলে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কঠিন সময় পার করে এবারের কমনওয়েলথ গেমসের অংশ সুমিথ রেড্ডি (B Sumeeth Reddy)। দেশের ব্যাডমিন্টন ডাবলস প্লেয়ারের জীবন অনুপ্রেরণাদায়ক।
হায়দরাবাদ: সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হলে ছাড়তে হবে ব্যাডমিন্টন। স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। দেশের উঠতি ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলস খেলোয়াড় বি সুমিত রেড্ডি (B Sumeeth Reddy) ভুগছিলেন মেরুদণ্ডের হাড় অবক্ষয়ের সমস্যায়। চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল খেলা চালিয়ে গেলে শরীরের নীচের অংশে হতে পারে পক্ষাঘাত। ছোটো থেকে ব্যাডমিন্টন (Badminton) যাঁর ধ্যানজ্ঞান, সেই মানুষটি কেঁপে গিয়েছিলেন ডাক্তারদের আশঙ্কার কথা শুনে। তিন সপ্তাহের জন্য শয্যাশায়ী ছিলেন। কঠিন সময় কাটিয়ে এবারের কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2022) অংশ বি সুমিত রেড্ডি। কীভাবে হল এই মিরাকেল!
দেশের হয়ে বহুদিন ধরে ডাবলস খেলে আসছেন তেলঙ্গানার ছেলে বি সুমিত রেড্ডি। ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে পুরুষদের ব্যাডমিন্টন ডাবলস ইভেন্টের অংশ ছিলেন। যদিও কমনওয়েলথ গেমসে কখনও অংশ নেওয়া হয়নি ৩০ বছরের সুমিতের। ২০২২ বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ২১২ জন অ্যাথলিটের দলের একজন সুমিত। বার্মিংহ্যামে পা দেওয়ার আগে ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সময়গুলিকে প্রকাশ্যে আনলেন হায়দরাবাদের শাটলার। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুমিত বলেছেন, “এটা ২০১০-২০১১ সালের কথা। ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে দেশের শীর্ষ পাঁচ খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলাম। একদিন হঠাৎই কোমরের কাছে ভীষণ যন্ত্রণা শুরু হল। জানতে পারলাম, মেরুদণ্ডের হাড়ের মধ্যে ‘এয়ার বাবল গ্যাপ’ তৈরি হয়েছে। আমাকে বলা হল, খেলা ছাড়তে হবে। এরপর আরও দশজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিলাম। কিন্তু কেউই ভরসা জোগাতে পারেননি। বাথরুম যাওয়ার জন্যও পরিবারের কারও সাহায্য নিতে হত। ২০ দিন ওভাবেই বিছানায় পড়ে ছিলাম। শরীরের নীচের অংশে পক্ষাঘাত হওয়ার ভয় ছিল। কিন্তু হার মানতে শিখিনি।”
সুমিত বলেন, “কয়েক সপ্তাহ পর আয়ুর্বেদ চিকিৎসার শরণাপন্ন হই। রিহ্যাব, ব্যায়াম এবং কড়া অনুশাসনের মধ্যে জীবন কাটানোর সুফল মেলে অবশেষে। সিঙ্গলস আর খেলতে পারিনি ঠিকই তবে ৩-৪ বছরের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাই।” তবে ব্যাডমিন্টন জগতে কামব্যক করা সহজ ছিল না। কোনও এনজিও বা ফাউন্ডেশনের সাহায্য পাননি। ২০১৮ সাল থেকে সুমিতের আর্থিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। তেলঙ্গানা আয়কর বিভাগে কর্মরত সুমিত কমনওয়েলথের প্রস্তুতির জন্য গতবছর ছুটি নেওয়ার আগে সমস্ত কাগজপত্র জমা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বেতন পাননি। কমনওয়েলথে লড়াইটা কঠিন হবে তা অজানা নয় সুমিতের। বিশ্বমঞ্চে বিপক্ষের তাবড় তাবড় শাটলারদের উড়িয়ে পদক জয়ের দিকে চোখ তাঁর।