Sourav Ganguly and MS Dhoni: ভারতীয় ক্রিকেটের নবজাগরণ হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অন্ধকার সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটের হাল ধরেছিলেন। একটা সময় ভারতীয় দল সম্পর্কে অতি পরিচিত কথা ছিল-দেশে বাঘ, বিদেশে বেড়াল। সেই প্রবাদ বদলে দিয়েছিলেন সৌরভ। তাঁর পতাকা বয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
Image Credit source: twitter
কেপ টাউন: ক্যাপ্টেন। শব্দটার মধ্যেই অনেক দায়িত্ব। আর ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হলে তো কথাই নেই। প্রত্যাশার পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে নামতে হয়। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরকেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মেয়েদের ক্রিকেটে আইসিসি ট্রফি অধরা ছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে অবশেষে সেই তৃপ্তি পেয়েছে ভারত। সিনিয়র দলে এখনও আইসিসি ট্রফি অধরাই। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। রবিবার বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি চাপ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে হরমনপ্রীতের ভরসা দেশের প্রাক্তন দুই দুঁদে ক্য়াপ্টেনের মস্তিষ্ক। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ভারতীয় ক্রিকেটের নবজাগরণ হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অন্ধকার সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটের হাল ধরেছিলেন। একটা সময় ভারতীয় দল সম্পর্কে অতি পরিচিত কথা ছিল-দেশে বাঘ, বিদেশে বেড়াল। সেই প্রবাদ বদলে দিয়েছিলেন সৌরভ। তাঁর পতাকা বয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দেশের অন্যতম সফল দুই অধিনায়কের থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ম্যাচের আগে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলছেন, ‘এমএস ধোনি মাঠে কতটা বুদ্ধিমান অধিনায়ক, সেটা আমরা সকলেই জানি। এখনও ওঁর পুরনো ম্যাচের ভিডিয়ো দেখলে অনেক কিছু শেখা যায়। নেতৃত্বের বিষয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও এমএস ধোনির থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার এই দু-জনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।’
এমএস ধোনি এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক, যিনি আইসিসি-র তিনটি ট্রফিই জিতেছেন। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। হরমনপ্রীত কৌর আরও যোগ করেছেন, ‘ওঁরা যে ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিত, অনুসরণ করতাম। সৌরভ যখন ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন, সে সময় পুরুষদের ক্রিকেট উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। সৌরভ ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাই পালটে দিয়েছিল। বিশেষ করে, প্লেয়ারদের পাশে থাকা, তাদের খারাপ সময়ে ভরসা দেওয়া কতটা জরুরি, সেটা সৌরভ ভালো করে শিখিয়ে দিয়েছেন।’