Hearo Super Cup : হায়দরাবাদ এফসি জয় দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে আপাতত শীর্ষে তারাই। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিতলেই ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে।
Image Credit source: East Bengal
কলকাতা : সুপার কাপের শুরুটা আরও ভালো হতে পারত ইস্টবেঙ্গলের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্য়াচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে মোবাশিরের গোলে এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়া হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি। তিন পয়েন্টের আশা জাগিয়েও শেষ অবধি মাত্র এক পয়েন্ট। ম্যাচ, অনুশীলনের ভেনু, টিম হোটেল থেকে দূরত্ব, নানা বিষয়েই সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্য়ান্টাইন। কিন্তু গোল নষ্টের যে খেসারত দিতে হয়েছে, এ কথাও অস্বীকার করা যায় না। সব মিলিয়ে চারটি শট লক্ষ্যে ছিল প্রথম ম্যাচে। গোল হয়েছে একটি। চার দলের গ্রুপ। তিনটি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দলই। প্রতিটা ম্যাচই কার্যত নকআউট। প্রথম ম্য়াচে এক পয়েন্ট নিয়ে প্রবল চাপে ইস্টবেঙ্গল। এ বার সামনে শক্তিশলী হায়দরাবাদ এফসি। কী পরিস্থিতি ইস্টবেঙ্গলের? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
হায়দরাবাদ এফসি জয় দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে আপাতত শীর্ষে তারাই। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিতলেই ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে। ইস্টবেঙ্গলের কাছে মরণ বাঁচন ম্যাচ। হারলে গ্রুপের শেষ ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াবে। জিতলেও শেষ ম্যাচের ওপরই নির্ভর করতে হবে। লাল-হলুদে খেলেন কেরলের ফুটবলার ভিপি সুহের। তাঁর রাজ্যে হচ্ছে সুপার কাপ। ভিপি সুহের বলেন, ‘কেরলের ফুটবল প্রেম নতুন করে বলার নেই। খুবই ভালো লাগছে, নিজের শহরে খেলছি। এর আগে সন্তোষ ট্রফিতেও দেখা গিয়েছে, মাঠে প্রচুর সমর্থক থাকত। আমরা ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভালো খেলতে পারিনি। সকলের কাছে অনুরোধ করব সুপার কাপে আমাদেরও সমর্থন করুন। দলের জন্য এবং এ রাজ্যের ফুটবল অনুরাগীদের জন্য় ব্যক্তিগত ভাবে ভালো পারফর্ম করতে চাই।’
প্রথম ম্যাচে বিদেশিহীন রক্ষণ নামিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রক্ষণ ভাগ ভালো খেলেছে বলা যায়। বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে রক্ষণ ভাগের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলছেন, ‘সুপার কাপের আগে চেন্নায়িন এফসির বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচেও এই রক্ষণ নামানো হয়েছিল। সেখানেও ওরা ভালো খেলেছে। গত ম্যাচেও ওদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি।’