CSK vs KKR Mid-Innings : শিবম দুবে-রবীন্দ্র জাডেজা জুটি ক্রমশ চাপ তৈরি করছিল। ১৮ তম ওভারে ফের আক্রমণে বরুণ। এই ওভারে ১৫ রান ওঠে। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট বরুণের।
কলকাতা : চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে আরও সুযোগ থাকবে। তবে কেকেআরের কাছে প্রতিটা ম্যাচই নকআউট। ঘরের মাঠে গত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে এমনিতেই রাস্তা কার্যত অসম্ভব করে রেখেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এখন শুধুই কঠিন অঙ্ক। চেন্নাই সুপার কিংসকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারানো একে বারেই সহজ নয়। এর জন্য চাই টিম গেম।চিপকে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক নীতীশ রানাও টসের পর জানান, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন। সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল বলা কঠিন, তবে টস হারটা একদিক থেকে যেন ভালোই হয়েছে। বরং মরণ বাঁচন ম্যাচে কেকেআর বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়। পাওয়ার প্লে-তে চেন্নাই সুপার কিংস ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তোলে। ৭২ রানে ৫ উইকেট হারালেও চেন্নাই সুপার কিংস ১৪৪-৬ স্কোর গড়ল। সৌজন্যে শিবম দুবের ইনিংস। বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পাওয়ার প্লে-তে কেকেআরকে একমাত্র সাফল্য দিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর কাছে এটি ‘ঘরের’ মাঠ। চিপকের পিচে স্পিনারদের সুবিধা থাকে। কাজে লাগালেন বরুণ। পাওয়ার প্লে-তে ফেরান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই দ্বিতীয় সাফল্য আসে বরুণের সৌজন্যেই। অজিঙ্ক রাহানেকে ফেরান বরুণ। তবে কেকেআরকে মরসুমের শেষ দিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে সুনীল নারিনের কামব্যাক। চিপকে নামার আগে গত ৯ ম্যাচে মাত্র এক উইকেট নিয়েছিলেন সুনীল নারিন। এদিন এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে কেকেআরকে ভরসা দিলেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। একাদশ ওভারে অম্বতি রায়ডু এবং মইন আলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
সুনীল নারিন ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এ মরসুমে বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার শিবম দুবে। বাউন্ডারি খুঁজতে তিনিও হিমশিম খাচ্ছিলেন। ১৬ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রান তোলে সিএসকে। কিন্তু এরপরই কিছুটা খেই হারায় কেকেআর। ১৭তম ওভারে সূয়াশের ওভারে একটি নো বল, জোড়া ছক্কা। সব মিলিয়ে এই ওভারে আসে ১৫ রান। বরুণ চক্রবর্তী স্পেলের প্রথম তিন ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। শিবম দুবে-রবীন্দ্র জাডেজা জুটি ক্রমশ চাপ তৈরি করছিল। ১৮ তম ওভারে ফের আক্রমণে বরুণ। এই ওভারে ১৫ রান ওঠে। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট বরুণের। শেষ ওভারে জুটি ভাঙে। ২ বলের জন্য ধোনি মাঠে নামতেই সেই চেনা গর্জন। শেষ অবধি শিবম দুবের অপরাজিত ৪৮ রানের সৌজন্যে ১৪৪ স্কোরে সিএসকে। চিপকের পিচে এই রান তোলাও সহজ নয়।