সৌদির বিরুদ্ধে শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ার বার্তা কোচ স্টিমাচের


হানঝাউ: দীর্ঘ ১৩ বছর পর এশিয়ান গেমসের নক আউটে উঠেছে ভারতীয় ফুটবল দল। ২০১০ সালে চিনের গুয়াংঝৌ গেমসে নক আউট পর্যায়ে শেষ বার খেলেছিল ব্লু টাইগার্সরা। এশিয়ার অন্যতম পাওয়ার হাউস জাপানের কাছে সে বার হেরে গিয়েছিল ভারত। এ বার সুনীলদের সামনে সৌদি আরব। ভারতের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে। বিশ্বকাপে আবার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সৌদির সিনিয়র টিম। ভারতের কাছে লড়াইটা বেশ কঠিন। মায়ানমারের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র করেন সুনীলরা। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গুরকিরাত সিং, রহিম আলিরা। কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই এশিয়াডে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। এমনকি দলের ফুটবলারদের মধ্যে সে ভাবে বোঝাপড়াও নেই। যে প্রসঙ্গে গেমস শুরুর আগেই বোমা ফাটিয়েছিলেন দলনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় দলকে ঘিরে যদিও আশাবাদী কোচ ইগর স্টিমাচ। এশিয়ান গেমসের দল থেকে ভবিষ্যতের ফুটবলারদেরও খুঁজে পেয়েছেন তিনি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার ভারতের সামনে সৌদি আরব। মাঝে ২ দিন জোরকদমে অনুশীলনে নজর ব্লু টাইগার্সের। সৌদি ধারে ভারে এগিয়ে থাকলেও ভয় পাচ্ছেন না কোচ স্টিমাচ। তিনি বলছেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা নক আউটে উঠেছি তাতে আমি খুশি। ছেলেদের কৃতিত্ব প্রাপ্য। মায়ানমার ম্যাচেও আমরা ভালো খেলি। তবে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে প্রতিপক্ষকে সুবিধা করে দিই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই দল থেকে এমন অনেককে খুঁজে পেয়েছি, যারা পরবর্তীতে জাতীয় দলের সম্পদ হতে পারে। তিনটে ম্যাচেই দুরন্ত লড়াই চালিয়েছে তারা। এটাই একজন কোচের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’

মাঠে ২৭০ মিনিট লড়াই চালিয়েছেন ব্লু টাইগার্সের দলনায়ক সুনীল ছেত্রী। অনেকেই বয়সের কথা বলেন। ফিটনেসই যে আসল, সুনীল তা বারবার প্রমাণ করেছেন। অধিনায়কের প্রশংসায় স্টিমাচ বলেন, ‘তিনটে ম্যাচেই সুনীল পুরো সময় মাঠে থেকেছে। কারণ ও নিজে থাকতে চেয়েছে। ম্যাচের মাঝে বেরিয়ে আসতে চায়নি। দলের প্রয়োজনে ডিফেন্সে নেমে সাহায্য করেছে। আক্রমণ তৈরিতেও কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে। ওর দায়বদ্ধতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

আপাতত সৌদি ম্যাচকেই ফোকাস ভারতীয় ফুটবল দলের। ২ দিন কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতে চান ফুটবলাররা। শেষ মিনিট পর্যন্ত মাঠে লড়াই করার বার্তা দিলেন কোচ স্টিমাচও। এমনকি তিনি এও বললেন, ‘আমরা শেষ ষোলোয় উঠে অনেককেই অবাক করে দিয়েছি। কে জানে! আমরা হয়তো আরও অনেক অবাক করতে পারি।’

Leave a Reply