ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। সব মিলিয়ে পাঁচ বার আইপিএল জিতেছে। এ বারও প্রথম থেকেই যেন প্রথমে। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেল চেন্নাই সুপার কিংস। ঘরের মাঠে টানা দু-ম্যাচে জয়। উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে সিএসকে। দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং। প্রতিপক্ষকে বিশাল টার্গেট দেওয়া। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে অনবদ্য। সব মিলিয়ে নিখুঁত জয় বলা যায়।
টস হারের পর চেন্নাই সুপার কিংসের তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলেছিলেন, তিনিও ফিল্ডিংই নিতেন। সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, প্রথমে ব্যাটিং করতেও সমস্যা নেই। কথায় যে বিশ্বাসটা দেখিয়েছিলেন, ব্যাটিংয়েও সেটা করে দেখালেন চেন্নাই সুপার কিংস ক্রিকেটাররা। বিধ্বংসী শুরু করেন দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও রাচিন রবীন্দ্র। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় রশিদ খানকে। তাঁর বোলিংয়ে অনবদ্য স্টাম্পিং ঋদ্ধিমান সাহার। ২০ বলে ৪৬ রানে ফেরেন রাচিন। স্পেন্সর জনসন ফেরান সিএসকে ক্যাপ্টেন ঋতুরাজকে।
গত মরসুমের মতোই সিএসকের প্রকৃত অর্থেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হয়ে উঠেছেন শিবম দুবে। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হল না। মাত্র ২৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। মিডল অর্ডারে বেশ কিছু ক্যামিও ইনিংস। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৬ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। এত বড় টার্গেট তাড়া করতে শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। নতুন বলে দীপক চাহার বরাবরই ভয়ঙ্কর। শুরুতেই শুভমনকে ফিরিয়ে টাইটান্সে বড় ধাক্কা দেন। ঋদ্ধিমান সাহা ১৭ বলে ২১ রানে ফেরেন।
চেন্নাই পেসারদের অনবদ্য বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের কাছে পেরে ওঠা সহজ ছিল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে সিএসকে। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১৪৩ রান তুলতে পারে টাইটান্স। দীপক চাহার, মুস্তাফিজুর রহমান, তুষার দেশপান্ডে দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট ড্য়ারেল মিচেল ও মাতিসা পাথিরানার।