কেকেআর ব্যাটিংকে কোমা থেকে তুললেন আইয়ার! ১৬৯ রানেই অলআউট


ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কি পুরনো ইডেন গার্ডেন্সের অদলবদল হয়ে গিয়েছে! কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে তেমনই মনে হয়েছিল। শট সিলেকশনের যেমন গলদ তেমনই পিচেরও ভূমিকা রয়েছে। পিচে শুরুতে বল থমকে আসছিল। তেমনই স্পিনারদের জন্যও সুবিধা। গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় পিচ যেমন মনে হয়েছিল, ঠিক যেন তেমনই পরিস্থিতি। মাত্র ৫৭ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় কেকেআর।

খুব কম ম্যাচেই দেখা যায়, প্রথম ইনিংসেই কোনও টিম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামায়। এই ম্যাচে কেকেআরকে ব্যাটিংয়েই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামাতে হল। বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রিঙ্কু সিংয়ের। তাঁর কাছে দুর্দান্ত সুযোগ ছিল ব্যাট হাতে আরও একবার নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের। পাওয়ার প্লে-তেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। সময়ও ছিল প্রচুর। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ। কেকেআরকে ভরসা দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।

মণীশ পান্ডেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামায় কেকেআর। ভেঙ্কটেশের সঙ্গে তাঁর অনবদ্য জুটির সৌজন্যেই ১৫০-র গন্ডি পেরোয় কেকেআর। যদিও ভেঙ্কটেশের ভুলেই বড় ক্ষতি হয় কেকেআরের। মণীশ পান্ডে ৪২ রানে ফিরতেই ক্রিজে প্রবেশ আন্দ্রে রাসেলের। ছয় মেরে শুরু করেন। ভেঙ্কির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট রাসেল। বলা ভালো ভেঙ্কটেশের ভুলেই। ভেঙ্কটেশ আইয়ার গত মরসুমে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ বার ৭০ রানে ফিরলেন। তাঁর উইকেটেই অলআউট হয় কেকেআর।

মুম্বইয়ের টার্গেট ১৭০ রান। এই রানের পুঁজি নিয়ে কঠিন লড়াই কেকেআরের। তবে স্পিনাররা ভালো পারফর্ম করতে পারলে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারে নাইট শিবির।

Leave a Reply