অ্যান্টিগায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ভারতের। টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অবধি অপরাজিত। পাঁচটি জয়, একটি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালও কার্যত নিশ্চিত করেছে। এই মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক স্কোর গড়েছে ভারত। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রোহিত-বিরাটের দুর্দান্ত শুরুর পর পন্থ, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়াদের বিধ্বংসী ব্যাটিং। ভাইস ক্যাপ্টেন হার্দিক ২৭ বলে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করেন। বাংলাদেশকে ১৯৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। কত টার্গেট থাকলে জিততে পারত বাংলাদেশ?
ভারতের দেওয়া ১৯৭ রানের টার্গেট চেজ করতে মিরাকল প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। এর জন্য সবার আগে জরুরি ছিল পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো। পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪২ রান তোলে। প্রায় ২০০-র কাছাকাছি রান তাড়ায় যা একেবারেই কার্যকর নয়। পাওয়ার প্লে-তে জসপ্রীত বুমরার ২ ওভারে মাত্র ৬ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ করে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা ১৬০-১৭০ অবধি উঠবে আশা করেছিলাম। এটুকু আমাদের সাধ্যের মধ্যে ছিল বলেই মনে করি। তবে ভারত যে ভাবে ব্যাটিং করল, ওদের কৃতিত্ব প্রাপ্য।’ জোরালো হাওয়ার জন্যই কি সমস্যায় পড়ল বাংলাদেশ? ক্যাপ্টেন অবশ্য তা মনে করেন না। বলছেন, ‘এরকম আবহাওয়ার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত। এটা কোনও সমস্যা ছিল বলে মনে করি না। আমাদের ব্যাটিংয়ে প্রচুর বিকল্প ছিল। আমরা সেই তাগিদটা দেখাতে পারিনি। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-টা আমাদের আরও ভালো কাজে লাগানো উচিত ছিল।’