ব্যবহার করুন Windows 10 এর বিল্টইন Fresh Start Tool আর উইন্ডোজ ক্লিন আপ করে পিসিকে করে নিন নতুনের মত! | Techtunes


হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। এখন থেকে নিয়মিত আবার নতুন টিউন নিয়ে আমরা হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আর টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।

সাধারণত আমরা যখন নতুন ল্যাপটপ বা পিসি কিনে থাকি তখন কোম্পানি বা দোকান থেকে অতিরিক্ত কিছু সফটওয়্যার ইন্সটল করে দেয়, সেই সফটওয়্যার গুলো আমাদের কোন কাজে লাগে না। আবার এমনও হয়ে থাকে তারা কোন সেটিংস চেঞ্জ করেছে যা আমরা সহজে খুঁজে বের করতে পারবো না তবে এই সেটিং চেঞ্জ করার কারণে আমাদের পিসিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর প্রকৃতপক্ষে এগুলো যদি কোন সমস্যা নাও করে তারপরেও আপনার পিসি বা ল্যাপটপের হার্ড ডিস্কের অনেকটা স্পেস দখল করে নিবে।

একটি একটি করে আপনার কম্পিউটারের জাঙ্ক সফটওয়্যার গুলো আনইন্সটল করতে পারবেন তবে অনেক ক্ষেত্রে এটা করা সহজসাধ্য হয়ে ওঠে না। প্রত্যেকটি সফটওয়্যার আনইন্সটল করার জন্য আপনাকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে এবং এই সফটওয়্যার গুলো সি ড্রাইভে ফাইল, রেজিস্ট্রি এবং অন্যান্য সেটিং গুলো আপনার চোখে নাও পরতে পারে। তবে আপনি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করেও জাঙ্ক সফটওয়্যার আনইন্সটল করতে পারবেন, থার্ড পার্টি সফটওয়্যার এর ঝামেলায় না গিয়ে আপনি উইন্ডোজ ১০ এর একটি বিল্ট ইন হ্যান্ডি টুলসের মাধ্যমে সহজেই আপনার উইন্ডোজ কে সেটআপ এর অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর বিল্ট ইন Fresh Start টুলসের মাধ্যমে আপনি আপনার উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমকে একদম সেটআপ দেওয়ার অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন। আর এর ফলে সমস্ত থার্ড পার্টি সফটওয়্যার যেমন: জাঙ্ক সফটওয়্যার রিমুভ করে দিবে তবে উইন্ডোজ এর সাথে ডিফল্ট যত টুলস রয়েছে তা বিদ্যমান থাকবে।

যদি আপনি Fresh Start টুলসটি রান করতে চান, তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সফটওয়্যার, ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফাইল ব্যাকআপ করে রাখুন। আর এই ফলে আপনার উইন্ডোজ ১০ কে ডিফল্ট রূপে ফিরে পাবেন সুতরাং আপনার পছন্দ মত ফাইল গুলো ব্যাকআপ করে রাখুন অথবা রিমুভ করে দেন।

আর এই কারণেই নতুন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কেনার পরে Fresh Start টুলসের মাধ্যমে একদম ক্লিন করে নেওয়া উত্তম। কেননা জাঙ্ক সফটওয়্যার এর কারণে কম্পিউটারের কাজের গতি কমে যায়।

Fresh Start টুলস ওপেন করুন

উইন্ডোজ ১০ থেকে Fresh Start টুলসে অ্যাক্সেস করতে হলে, প্রথমে Start বাটনে ক্লিক করে Settings এ যান তারপরে Update & Security > Windows Security > Device performance & health এই অপশনে নেভিগেট করুন।

এখন, Fresh Start সেকশনের ঠিক নিচে Additional info নামের লিংকে ক্লিক করুন

পরবর্তী স্ক্রিন থেকে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার কম্পিউটার থেকে কি কি টুলস রিমুভ করা হবে। সবকিছু কনফার্ম করে প্রসেস শুরু করতে Get Started বাটনে ক্লিক করুন।

Fresh Start টুলস যেভাবে ব্যবহার করবেন

Get Started বাটনে ক্লিক করার পরে, Fresh Start টুলস এর একটি নতুন উইন্ডো আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। এই স্ক্রিন থেকেই জানতে পারবেন কোন সফটওয়্যার বা ফাইল গুলো আপনার কম্পিউটার থেকে রিমুভ করা হবে, এখন Next বাটনে ক্লিক করুন। যেহেতু কোন সফটওয়্যার গুলো রিমুভ হচ্ছে তার নাম গুলো জানাই আছে ফলে আপনার কম্পিউটার ক্লিন হয়ে গেলে আপনি আবার ঐ সফটওয়্যার গুলো পুনরায় ইন্সটল করে নিতে পারবেন। এখন Next বাটনে ক্লিক করুন এবং তারপরে Start বাটনে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটার ক্লিন করার প্রসেস শুরু করে দিন।

এখন বাকি কাজ এই Fresh Start টুলস ই করবে, যেমন নতুন কোন আপডেট থাকলে তা ডাউনলোড করা বা উইন্ডোজ কে একদম প্রথম অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই প্রসেসটি শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে, তাই আপনি এক মগ চা বা কফি নিয়ে আস্তে আস্তে পান করুন আর প্রসেসটি লক্ষ করুন।

সফটওয়্যারগুলো রিইন্সটল করুন

যখন আপনার উইন্ডোজ ক্লিন আপ হয়ে যাবে, তখন আপনি আবার সাইন ইন স্ক্রিন দেখতে পাবেন এবং সাইন ইন স্ক্রিন থেকে সাইন ইন করে নিন। আগে যদি কোন পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে তাহলে সম্ভবত আপনাকে সেই পাসওয়ার্ড দিয়েই সাইন ইন করতে হবে।

এখন, উইন্ডোজ একা একাই সেট আপ হবে, আপনাকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। আর সেটআপ হওয়ার পরে আপনি দেখতে পাবেন যে উইন্ডোজ ১০ আগের জাঙ্ক সফটওয়্যার গুলো রিমুভ করে আপনাকে একটি ক্লিন উইন্ডোজ উপহার দিচ্ছে।

আর হ্যাঁ, আপনাকে অবশ্যই পুরনো সফটওয়্যার আর অন্যান্য সেটিং গুলো নতুন করে সেটআপ করে নিতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো পুনরায় ইন্সটল করে আপনার নিজের মত করে কম্পিউটার সাজিয়ে নিন।

তাছাড়া কিছু সফটওয়্যার থাকবে যেগুলো আবার নতুন করে ডাউনলোড করতে হবে। অথবা আপনি কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন সেগুলো আপনার নিজ থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল আপনার সমস্যা যুক্ত উইন্ডোজ এর সমাধান নতুন করে ইন্সটল না করেই।

শেষ কথা

মাঝে মাঝেই আমরা উইন্ডোজ নিয়ে সমস্যা পড়ে থাকি, আর এর জন্য আমরা সাধারণত নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করি। কিন্তু সবসময় আমাদের কাছে উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়ার জন্য বুটেবল পেন ড্রাইভ বা ডিস্ক থাকে না। এই অবস্থায় বা অন্য যে কোন অবস্থায় এই পদ্ধতিতে আমরা আমাদের উইন্ডোজ এর সমস্যার সমাধান করতে পারি।

টিউন জোসস করুন, আমার টিউন শেয়ার করুন, টেকটিউনসে আমাকে ফলো করুন, আপনাদের মতামত জানান

আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য ‘Follow’ বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।

আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি  টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।

আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।

Leave a Reply